ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির রাজনীতি এখনও মানুষ খুনের রাজনীতি: সেতুমন্ত্রী 

প্রকাশনার সময়: ৩০ জুন ২০২২, ০৪:০০
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এদেশের সংবিধান, সুশাসন ও মানবাধিকারকে বার বার হত্যা করেছে। তাদের রাজনীতি এখনও মানুষ খুনের রাজনীতি।

বুধবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বিবৃতির নিন্দা-প্রতিবাদ জানান কাদের।

‘বিরোধী দল দমনে আরও হিংসাত্মক রূপে সরকার’- বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া এই বিবৃতির প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেবের এই বিবৃতি বিএনপির দৈনন্দিন মিথ্যাচারের অপরাজনীতির অংশ ছাড়া আর কিছু নয়।’

তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আজ বাংলাদেশে এক নবতর উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। বাঙালি জাতির এই গণজাগরণে হতাশ হয়ে দিশাহারা বিএনপি আজ তাদের হতাশা-ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ তুলছে। অপরদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম কী ভুলে গেছেন- তাদের শাসনামলে কীভাবে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীর মায়ের বুক খালি করা হয়েছে? তারা শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেনি, ২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হাওয়া ভবনের মদদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নির্মমভাবে হত্যা প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। ২০০১-০৬ সময়কালে বিএনপি-জামাত অশুভ জোট শুধু রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা করেনি, তারা দেশের সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপরও নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে।’

বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাই, শায়েখ আব্দুর রহমান ও মুফতি হান্নানের মতো ভয়ঙ্কর দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের উত্থান ঘটে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জঙ্গিগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সমাবেশ শুধু নয়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জঙ্গি হামলা চালায় এবং এই জঙ্গিদের হামলা থেকে ব্রিটিশ কূটনীতিকও রেহাই পায়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ছাত্রদল-যুবদল নেতারা তাদের রাজনৈতিক সমাবেশে ‘৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’-এ ধরনের প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেওয়ার পরও এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও ফৌজদারি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার পরও বিএনপি নেতাদের দমনে হিংসাত্মক আচরণ তো দূরের কথা, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

‘আওয়ামী লীগ সরকার দমন-নিপীড়ন নয়, বরং সকল দল-মতের মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করে। সে কারণে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরও আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ সহনশীল আচরণ করেছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ এবং তাদের দেশবিরোধী ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে জাতির গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু নিয়ে নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। রাজপথে ও গণমাধ্যমে বিএনপি নেতারা অবাধ বাকস্বাধীনতা ভোগ করছে এবং সেই সুযোগে প্রতিদিন নির্লজ্জভাবে বক্তৃতা ও বিবৃতির মাধ্যমে নির্জলা মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে।’

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্য বলেন, মিথ্যাচার-গুজব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করবেন না। পদ্মা সেতু নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে উস্কানি দেবেন না।

নয়া শতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ