জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা) এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনের টোল নির্ধারণ করেছে সরকার।
বুধবার (২৯ জুন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই মহাসড়কে টোল ছাড়া চলা যাবে না।
সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৬৯০ টাকা টোল দিতে হবে মালবাহী ট্রেইলারকে। সবচেয়ে কম ৩০ টাকা টোল দিতে হবে মোটর সাইকেলকে।
ভারী ট্রাকের টোল হবে ১ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকের টোল হবে ৫৫০ টাকা, ছোট ট্রাককে টোল দিতে হবে ৪১৫ টাকা। বড় বাসের জন্য টোল ধরা হয়েছে ৪৯৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টারে টোল ২৭৫ টাকা। মাইক্রোবাসকে ২২০ টাকা, প্রাইভেটকারের জন্য ১৪০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে পদ্মা সেতুও থাকছে বলে এই টোলের সঙ্গে সেতুর টোলও যোগ হবে। যেমন এক্সপ্রেসওয়েতে সেডান কার নিয়ে ওঠে পদ্মা সেতুর ওপারে গেলে ১৪০ টাকা ও ৭৫০ টাকা মিলিয়ে মোট ৮৯০ টাকা টোল দিতে হবে। আবার বড় বাসের ক্ষেত্রে যেমন ২৪০০ টাকা সেতুর টোলের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের টোল যোগ হয়ে ২৮৯৫ টাকা।
এভাবে সব গাড়ির ক্ষেত্রেই দুটি টোল যোগ হবে। বে এক্সপ্রেসওয়ে পুরো ব্যবহার না করলে টোল কমবে কি না, তা প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট নয়।
গত বছরের ১১ মার্চ এই মহাসড়ক উদ্বোধন করেন। এ এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ে দক্ষিণ কোরীয় একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কোম্পানিটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য এর রক্ষণাবেক্ষণ, টোল আদায় ও অন্যান্য পরিচালন কাজে যুক্ত থাকবে।
দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এতে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার, দুটি ইন্টার চেইন, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ