আমার কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। আমি আশাকরি, যারা পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে মন্তব্য করেছের পদ্মাকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
এরপর মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন বাঙালীর গর্বের প্রতীক বহুমুখী পদ্মা সেতু। উদ্বোধন শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে দেশ বিদেশে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অগ্রগতি স্থবির হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অনেকে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বসে পড়েনি। অমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মোকাবেলা করে টিকে আছে। বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও পারি। পদ্মা সেতু তাই আত্মমর্যাদা ও বাঙালির সক্ষমতা প্রমাণের সেতু শুধু নয়, পুরো জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও। বাংলাদেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আমাদের দেশ। এদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছে। এদেশের কল্যাণে আমি কাজ করবই। যখন সবাই সড়ে যায় তখন আমি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম- পদ্মা সেতু আমরা করব এবং নিজস্ব অর্থায়নে করব। তিনি বলেন, মানুষের শক্তিই বড় শক্তি। আর মানুষের সেই শক্তি দিয়েই আমরা পদ্মা সেতু করেছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পদ্মা সেতু আশ্চর্য্য সৃষ্টি। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এ রকম আরো বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে- এটা নিশ্চিত। তিনি বলেন, এ সেতু নির্মাণের কাজ করে আমাদের দেশীয় কর্মকর্তারা আরো দক্ষ হয়ে উঠেছে। এ দক্ষতা দেশে বিদেশেও কাজে লাগবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ