ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশনার সময়: ১৭ জুন ২০২২, ২১:০৭

বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

সকাল ৯টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘিতে মরিচ ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর বিলে পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দক্ষিণপাড়া গ্রামের আনোয়ারের ছেলে শাকিলের (১৫) মৃত্যু হয়েছে।

সকাল ১০টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর এলাকার নতুন সোনাকান্দা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বালুর মাঠে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে সজীব সরকার (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ছালাম মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বজ্রপাতে নাটোরের বাগাতিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক আতাউর রহমান নিহত হয়েছেন।

বাঁশবাড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ সাবিহা সুলতানা জানান, আতাউর রহমান তার কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ির পানির লাইনে সমস্যা হওয়ায় তা দেখতে ছাদে যান। তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ছাদ থেকে ফিরতে দেরি দেখে তার স্ত্রীও ছাদে যান। তিনি গিয়ে দেখেন আতাউর পড়ে আছেন। স্ত্রীর চিৎকারে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহ সদর, নান্দাইল ও ধোবাউড়া উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নান্দাইলে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো গাঙ্গাইল ইউনিয়নের পংকরহাটি গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১১), বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাওন (৮)।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, বৃষ্টির সময় ওই তিন শিশু এক সাথে খেলছিল। দুপুর দুইটার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে তারা গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দুজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একজন কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে জেলার সদর উপজেলার দড়ি কুষ্টিয়া ইউনিয়নের দড়ি কুষ্টিয়া গ্রামের কৃষক বাক্কার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন বজ্রপাত নিহত হন। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, সকালে মুষলধারে বৃষ্টির সময় চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হন গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের সায়দাবাদ শিল্পপার্ক এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম খানের ছেলে নাসির উদ্দিন মারা যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি এলাকায় দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক মুন্সী মারা যান। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাড়াশের বোয়ালিয়া মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দূর্গা চরন (৫২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের পূর্ব বামনাইল গ্রামে বেলা ১১টার দিকে বজ্রপাতে নাদিরা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু জানান, বৃষ্টির সময় মাঠে গরু আনতে গিয়েছিলেন নাদিরা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মোহনপুর উপজেলার আমগাছি গ্রামের মো. কাউছার আলীর ছেলে রাব্বি হোসেনের (১২) মৃত্যু হয়েছে। মোহনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরে বৃষ্টির সময় খোলা জায়গায় কয়েকজন কিশোর ফুটবল খেলছিল। বজ্রপাতের বিকট শব্দ হলে রাব্বি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়।

দুপুরে নওগাঁর মান্দা ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে নাঈম হোসেন (১৪) বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, দুপুরের দিকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে নাঈম হোসেন বাড়ির পাশে মাঠে গরু নিয়ে যায়। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই নাঈম মারা যায়।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ