প্রেমের টানে রাষ্ট্রীয় সীমান্তকে উপেক্ষা করে নদী সাঁতরে ওপার বাংলায় হাজির হয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু আইনের প্যাঁচে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওই তরুণীকে যেতে হল হাজতে।
ভারতের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা মণ্ডল নামের ওই তরুণী বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রানিয়া অঞ্চলের যুবক অভীক মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের প্রথম আলাপ হয়। সেখান থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। এরপরই বাংলাদেশের তরুণী ঠিক করেন তিনি বিয়ে করবেন অভীককে। কিন্তু নেই পাসপোর্ট, নেই ভিসা। অতঃপর চার দিন আগে সুন্দরবনের উত্তাল নদী, ভয়াল জঙ্গল পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পরিকল্পনা করেন তরুণী। একাই জঙ্গল পেরিয়ে, নদী সাঁতরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন সাতক্ষীরার বাসিন্দা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে সাঁতার কেটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৈখালি এলাকায় ওঠেন কৃষ্ণা। সেখান থেকে যান কালীঘাটে।
অন্যদিকে, কালীঘাটে অপেক্ষা করছিলেন প্রেমিক অভীকও। এরপর কালীঘাট মন্দিরে দুজনে বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর অভীকের বাড়িতে দুজনে থাকতেও শুরু করেন। সেখান থেকেই বেআইনিভাবে প্রবেশ করার অভিযোগে কৃষ্ণাকে গ্রেপ্তার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ