ঢাকা, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
করোনা ভাইরাস

যুক্তরাজ্য ছাড়া আরও ১২ টি দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশনার সময়: ০১ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫০ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৩৬
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যুক্তরাজ্য বাদে পুরো ইউরোপ এবং আরও ১২টি দেশ থেকে যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ৩রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ইউরোপের বাইরে যে ১২টি দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকছে, সেই দেশগুলো হচ্ছে:

কাতার, জর্ডান, কুয়েত, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, পেরু, লেবানন, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বাড়ছে, তাই এই পরিস্থিতি সামলাতে ৩রা এপ্রিল থেকে সাময়িক সময়ের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাতে কয়েকটি শর্তও উল্লেখ করা হয়েছে। যে দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেই দেশগুলোর এয়ারলাইন্স বা ফ্লাইট শুধু ট্রানজিট যাত্রীদের নিয়ে আসতে পাবে। তবে যে বিমানবন্দরে ট্রানজিট হবে, বাংলাদেশে আসার জন্য যাত্রীরা সেই ট্রানজিট বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে যেতে পারবেন না।

নিষেধাজ্ঞার বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বা সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বিমানবন্দরে যাত্রীকে টিকা নেয়া থাকলেও কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। একজন যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগের ৭২ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে এই সনদ নিতে হবে।

বিমানবন্দরে কোন যাত্রীর কভিড-১৯ এর কোন উপসর্গ যদি ধরা না পড়ে, তারপরও সেই যাত্রীকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

এছাড়া কভিড-১৯ উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেটি হবে সরকারের ব্যবস্থাপনায়, কিন্তু সেই যাত্রীকে তার ব্যয় বহন করতে হবে।

বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রানজিট যাত্রী যারা আসবেন, তারা যদি সেই দেশে টার্মিনালের বাইরে যান তবে তাদেরকে আবার সেখান থেকে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে লোকজন আসার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় বিভিন্ন মেয়াদে করা হয়েছিল। ১৪ দিন থেকে কমিয়ে সর্বশেষ চারদিন করা হয়েছিল। তাও নিশ্চিত করা যায়নি, এমন অভিযোগ রয়েছে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ