দুদকের মামলায় দণ্ডিত ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিনে আনা হয়েছে। তার হৃদরোগের সমস্যা থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৩ মে) সকাল ৯টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাজী সেলিমকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আনা হয়। তিনি ৫১১ নম্বর কেবিনে কারারক্ষীদের প্রহরায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, কারাগারে থাকা হাজী সেলিমকে আজ সকালে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, তাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান ও কারাগারের তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নতমানের হাসপাতালে ‘বেটার ট্রিটমেন্ট’ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গতকাল রোববার (২২ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক শহীদুল ইসলাম তা নাকচ করে দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে অসুস্থ, বাক প্রতিবন্ধী, স্ত্রী নেই এই তিনটি যুক্তিতে জামিন দিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী। কিন্তু আদালত বলেন, নো, তাকে একদিনের জন্য হলেও জেলে থাকতে হবে। পরে নিজের গাড়িতে তিনি কারাগারে যেতে চান, তবে আদালত সেটাও আমলে নেননি। তবে আদালত তাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান ও কারাগারের তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নতমানের হাসপাতালে ‘বেটার ট্রিটমেন্ট’ দিতে বলেছেন।
প্রথমে হাজী সেলিমের জামিন শুনানি হয়। তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রাণ নাথ ও সাইয়েদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।
পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আদালতের গারদখানা থেকে পুলিশের গাড়িতে করে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তিনবারের এই সংসদ সদস্যকে।
হাজী সেলিম ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপদেষ্টমণ্ডলীতে রয়েছেন। বিগত কমিটিতে তিনি সদস্য ছিলেন। এর আগে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ