পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের শুরুর দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। কারণ স্প্যানগুলো যখন বসানো হচ্ছিল, সেটা তার কাছে জোড়াতালি মনে হয়েছিল। বলেছিলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসরও (এভাবে বলেছিল)। তাদের কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে পদ্মায় ফেলে দেওয়া উচিত।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন করার কথা থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়, এই অর্থায়ন বন্ধের পেছনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা আছে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যিনি একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকেও পদ্মায় নিয়ে দুটি চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যান, পদ্মায় একটু চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।
বুধবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পরে ত্রাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দুঃস্থ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং বিভিন্ন এতিমখানা ও অনাথ আশ্রমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দেশের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারে, সেটা আজ আমরা প্রমাণ করেছি।
আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতি বানিয়ে রেখেছিল। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ। নিজস্ব অর্থায়নে ৯০ শতাংশ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা অর্জন করেছি। এই করোনার মাঝেও আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা ধরে রেখেছি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির সভাপতি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শ নিয়ে চলবেন। কারণ আওয়ামী লীগ একটি দল, যা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে। জাতির পিতা এই আওয়ামী লীগ গড়েছিলেন বলেই তার থেকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ জাতির পিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে এরকম অনেক অপপ্রচার করেছিল। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। তারপরই তো তাকে নির্মমভাবে হত্যা করল। ছোট্ট রাসেলকেও ছাড়েনি, যেন ওই রক্তের আর কেউ ক্ষমতায় আসতে না পারে।
তবে সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা ছিল। হয়তো এ জন্যই বেঁচে গিয়েছিলাম। বাবার স্বপ্নপূরণ করব বলেই বোধহয় আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। নইলে এত গোলাবারুদ, এত বোমা-গ্রেনেড, এত চক্রান্তের মধ্যেও বেঁচে থাকলাম কীভাবে? আজ বেঁচে আছি বলেই দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তার কারণ, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, সেই আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তার সরকার আরও ১০০ বছর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি, দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। আর যখন থাকব না, তখনকার জন্যও পরিকল্পনা আমরা করে দিয়েছি। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে। এরপরও আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা করা আছে। সেই পরিকল্পনা, সেই নীতি নিয়েই আমাদের চলতে হবে। দল হিসাবেও আমাদের দেশের জন্য যতটুকু কাজ, দলের প্রতিটি নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়াবে। মানুষের জন্য কাজ করবে।
নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বলেন, আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বা দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দলকে মুক্ত রাখা, দেশকে মুক্ত রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর যে দল বেশি কথা বলে যাচ্ছে, সেই বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? এদের তো নেতৃত্ব নেই। সব সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দিয়ে নির্বাচনে জেতা যায় না। আর নির্বাচনে পরাজয় হবে জেনেই তারা নির্বাচনকে নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচনকে কলুষিত করতে চায়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ অর্থনৈতিক উন্নতি পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশ পাচ্ছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আজ বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। কাজেই এ মর্যাদা ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়তে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে অনেকদিন পর মন খুলে কথা বলার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। বলেন, অনেক দিন পর মন খুলে কথা বললাম। আসলে এই করোনাভাইরাস বন্দি করে রেখে দিয়েছে আমাকে। ২০০৭ সালে ছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বন্দি। আর এখন আমি নিজের হাতে নিজে বন্দি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে সুস্থ থাকার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি আসন্ন আষাঢ় মাসে বৃক্ষরোপণ করার আহ্বান জানান সবার প্রতি। সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে যার যেখানে যতটুকু কাজ আছে, সেটি করতে হবে। আর কোনো মানুষ যেন গৃহহীন-ভূমিহীন না থাকে, প্রতিটি অঞ্চলে এর খোঁজ নিতে হবে এবং প্রতিটি মানুষকে বিনা পয়সায় ঘর করে দিতে হবে। দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ জাতি হিসাবে বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলব, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে- এটিই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা এবং ওয়ান-ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে গ্রেফতারসহ তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া, এটা একটা বড় সিগনাল ছিল তাদের কাছে। এদিকে আন্তর্জাতিকভাবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখন একটা নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে। কারণ দেশ চালানো এত সহজ না। দুটি বছর ধরে সমস্ত জায়াগায় তারা সেনা মোতায়েন করে রেখে দেশ চালাচ্ছে, কত দিন রাখতে পারে? যেটা হবার, সেই একটা বিশৃঙ্খলা সব জায়গায়। ওই অবস্থায় তারা মুক্তি দিল আমাকে এবং নির্বাচন দিল আর সেই নির্বাচনেই কিন্তু আওয়ামী লীগ জয় লাভ করলো।
দেশে ফিরতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন যদি জোর করে ফিরে না আসতাম আর জেল না খাটতাম, তা না হলে হয়তো বাংলাদেশের জনগণের এত ভোট পেতাম না। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে কিন্তু আজকে তিন টার্ম তিন বার পর পর সরকারে আছি। এখন এত কথা এই জন্য বললাম যে, ইতিহাসটা মানুষ তো ভুলে যায়, আমিই তো অনেক কথা ভুলে যাচ্ছি। আজকে ৪১ বছর, ৪১ বছরের চড়াই উতরাই পার হয়েই কিন্তু এখানে আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় যদি ক্ষমতায় থাকতে না পারি তাহলে দেশের উন্নতিটা দৃশ্যমান হয় না, উন্নতি করাও যায় না। কারণ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত যে কাজগুলি করেছিলাম, তা তো অধিকাংশ খালেদা জিয়া এসে নস্ট করে দিল। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, কেন? যারা কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা পাচ্ছে, তারা নৌকায় ভোট দেবে। ধানের শীষে ভোট দেবে না, এটা ছিল খালেদা জিয়ার যুক্তি। এভাবে যতগুলি কাজ আমরা হাতে নেই, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির নির্মাণকাজ শুরু করে দিয়েছিলাম, সেখানে কমিশন খেতে যেয়ে সেই বিদ্যুৎ উৎপাদনও প্রায় ব্যাহত। সর্ব প্রথম বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আমরা উন্মুক্ত করে দিই। বিদেশি বিনিয়োগ, আমেরিকার বিনিয়োগ প্রথম বাংলাদেশে আসে ইউএস একটা কোম্পানি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তারা বেসরকারি খাতে নির্মাণকাজ শুরু করে। সেই থেকে আমরা বেসরকারি খাতে সব কিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসতে দেয়নি ৭ বছর, ৮ বছর পর যখন আবার আসি আবার সেই কাজগুলি শুরু করি। আমরা ২০০৯ এর পর যে সরকার গঠন করেছি, তার পরেও আমাদের কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। অগ্নি সন্ত্রাস করে বিএনপি মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে, পেট্রোল বোমা মারে। দেশকে তারা বার বার ধ্বংসের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং সরকার উৎখাত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাদের ডাকে তো জনগণ সাড়া দেয়নি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া ২০০৭-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছে, সে জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করবে না। এই মুচলেকা দিয়েই কিন্তু দেশ ছেড়ে চলে যায়। এই মামলায় বিচারের রায়ে সে সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে এখন বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি, অসুস্থ সেই জন্য। এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি, যে আমাকে হতার চেষ্টা করেছে বার বার তাকেই আমি এই করুণা ভিক্ষা দিয়েছি যে, সে এখন বাসায় থাকতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাকে সুযোগ আমরা দিয়েছি, নির্বাহী আদেশেই দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটা প্রশ্ন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, বিএনপির আমলের নির্বাচনের ইতিহাস এতই কলুষিত যে, তাদের এ নিয়ে কথা বলার তো কোনো অধিকারই নাই, কোন মুখে তারা বলে? প্রত্যেকটা সময়ই তো আমরা দেখেছি তাদের ইলেকশন। সেই ’৭৭ এর হ্যাঁ-না রাষ্ট্রপতি, ’৭৯ এর সাধারণ নির্বাচন, ’৮১ এর নির্বাচন প্রত্যেকটি নির্বাচনই তো আমাদের দেখা। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। তো যাদের নির্বাচনের এত কলুষিত রেকর্ড তাদের মুখে এখন নির্বাচনের প্রশ্ন। আজকে নির্বাচনে যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সবগুলি আমাদেরই সিদ্ধান্ত, আমাদেরই চিন্তা। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অর্থই হয় না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সত্য। গণতান্ত্রিক অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। আর সেই শক্তিটা আছে বলেই এবং জনগণের শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই এখানে কাজ করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দুঃস্থ নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয় এবং এতিমখানা ও অনাথ আশ্রমগুলোর মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ