দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা গত প্রায় দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে গত ২৬ মার্চ আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর থেকে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছিল। গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের পর একপর্যায়ে সংক্রমণ কমতে থাকে। ধীরে ধীরে দৈনিক মৃত্যুও কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১ হাজার ২৩০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭। এ সময় ৩৩ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৮৪টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা আগের দিনের চেয়ে কম। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৮ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ৫১৪ জনের সংক্রমণ শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। ওই দিন নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু।
সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার, যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ