ঢাকা, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভিড় বাড়ছে শিমুলিয়া ঘাটে  

প্রকাশনার সময়: ১০ মে ২০২১, ১৪:৫১
বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাটে যাচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীরা

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে ও ট্রলারে করে পদ্মা পার হচ্ছেন। গত তিনদিনের মতো সোমবার সকাল থেকেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীরা আসতে শুরু করেন। ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ ছোট ছোট যানবাহনে করে ঘাটে আসছেন তারা।

ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছেন কয়েক হাজার যাত্রী। তবে ফেরি বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই নৌপথের অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।

সকাল থেকে বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করায় ও চেকপোস্টে কঠোর পদক্ষেপের কারণে অনেক যাত্রী ঘাটে যেতে না পেরে ফিরে গেছেন বিকল্প পথের সন্ধানে।

ঘাট সূত্র জানায়, সকাল ১০টার পর থেকে ঘাটের দিকে আসতে থাকায় যাত্রী চাপ বাড়তে শুরু করেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ঘরমুখো মানুষের পদ্মা পারাপার ঠেকাতে রোববার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে মোতায়েন করা হয় দুই পাল্টুন বিজিবি সদস্য সোমবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের জনস্রোত দিনের বেলায় ঈদে ঘুরমুখো মানুষের ঢলকেও হার মানায়। এসব মানুষ পারাপার করতে ১৫টি ফেরি সচল করতে হয় বলে বিআইডব্লিউটিসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ফেরিঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. জিয়া হাসান জানান, রাত সাড়ে ১২টায় ফেরি কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। মানুষের অনেক চাপ থাকায় ওই ফেরিতে শুধু ৪টি ছোট গাড়ি আনলোড করা সম্ভব হয়েছে। এর আগের ফেরি বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়, সেটিতেও মানুষ আর মানুষ।

তিনি বলেন, রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ছিল ছোট আকারের প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’ যানবাহন। একই সময়ে অপেক্ষায় ছিল ৪ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। দিনভর ফেরি প্রায় বন্ধ থাকার পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। প্রথমেই পারাপার করা হয় অ্যাম্বুলেন্স। এরপর জরুরি সেবার যান, পণ্যবাহী ট্রাক ও দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের।

প্রসঙ্গত, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত মাত্র ২টি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে ও চেকপোস্টে আটকে ছিল অন্তত ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি।

অপরদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকা, ঘাটে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের বাধার ফলে ভিন্ন কৌশলে পদ্মা পাড়ি দিয়ে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদ ঘরমুখো মানুষ। আর এ সুযোগে কতিপয় অসাধু চক্র লৌহজং ও শ্রীনগরের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে পদ্মা পারাপার করে দিচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ