অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই জানিয়েছে সরকার।
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদনসংক্রান্ত ফাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারার অধীনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতটি রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
পরে বিকালের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদন মঞ্জুর করতে পারছি না।
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় লিখিত আবেদনটি নিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পরপরই তা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে রাতেই পাঠানো হয়।
এরপর এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে সেখানে তিনি কী মতামত দিয়েছেন, সেটি বলেননি আইনমন্ত্রী। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে বলে তখন তিনি জানিয়েছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
তবে খালেদা জিয়া আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর তিনি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ