চিরচেনা জানজটের শহর এখন কার্যত ফাঁকা। কোথাও নেই কোনো কোলাহল কিংবা ব্যস্ততা, নেই যানজট। চারদিকে পিনপতন নিরবতা। সড়কে টুকটাক ব্যক্তিগত গাড়ির দেখা মিলছে। গণপরিবহনের সংখ্যাও অনেক কম। রয়েছে যাত্রী সংকটও। মোড়ে মোড়ে অনেকটা অলস সময় পার করছে ট্রাফিক পুলিশ৷ নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চলছে তল্লাশিও।
সোমবার (২ মে) সকাল থেকে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সকাল থেকে মিরপুর, শেরেবাংলা নগর, বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানী, তেজগাঁও ও কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো রাস্তা ফাঁকা, সড়কে পিনপতন নীরবতা। মাঝেমধ্যে দু-একটা গাড়ি সাই শব্দে দ্রুত চলে যাচ্ছে। এ যেন চেনার গভীর অচেনা এক ঢাকা।
মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, কারওয়ান বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ট্রাফিক সিগনালের তেমন প্রয়োজন হচ্ছে না। রাস্তার যে পাশে যখন গাড়ি বেশি, তখন তারা নিজেরাই একপাশ থেকে অন্য পাশে যাচ্ছেন। গাড়ির সংখ্যা এতটাই কম যে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বক্সে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
তেজগাঁও এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল্লাহ্ বলেন, মানুষজন তো গ্রামের বাড়িতে গেছে। রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাঁকা। সার্বিক পরিবেশ ভালো। আমরা তৎপর আছি, যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার বলেন, ঢাকা শহর তো একেবারেই ফাঁকা। আগের মত গাড়ি নেই এখন। ফাঁকা রাস্তায় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। রাজধানীবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা তল্লাশিও করছি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।
যাত্রীর অপেক্ষায় সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ভাড়ায় চলা মোটরসাইকেল। মহাখালীতে ভাড়ায় চলাচল করা বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা একজন চালক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঈদের ছুটির কারণে যাত্রীর চাপ কম। সকাল থেকে মাত্র ১ টি ট্রিপ দিয়েছি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ