ঢাকা, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না শিমুলিয়ায়

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২১, ১৩:৩০
সংগৃহীত

ফেরি বন্ধ ও বিজিবি মোতায়েন করেও শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ঘরমুখোদের স্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। দক্ষিণের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য রোববার সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে।

বিআইডব্লিউটিসি রাতভর ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করলেও ভোর থেকে তা বন্ধ করে দেয়। তবে সকাল পৌনে ৮টার দিকে আটটি অ্যাম্বুলেন্সসহ 'ফেরি ফরিদপুর' ১ নম্বর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিষেবার কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মত উঠে যাচ্ছে। “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন বাড়ি ছুটছেন। কোনো বাঁধাই মানছেন না।” সকালে ১ নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরি ফরিদপুরে ওঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। পুরো ফেরি মানুষে ভর্তি হয়ে যেতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। লোকজনের চাপে ফেরির ডালা ওঠানো যাচ্ছিল না। পুলিশ তখন লাঠিপেটা করে ফেরির ডালা ওঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে গাদাগাদি করে ছোট ফেরিটিতে করে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ওপারের কাঁঠালবাড়ি ঘাটের দিকে রওনা দেয়।

মাওয়া নৌ-পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির বলেন, ফেরি বন্ধের নির্দেশনার পরও রোববার প্রচুর যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। ফেরিতে উঠতে না পেরে অনেকে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইঞ্জিন চালিত ছোট ছোট ট্রলারে করে পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে। “এসব ট্রলারে এক থেকে দেড়শ যাত্রী উঠেছিল। ট্রলারের ১২ জন চালককেও আটক করা হয়েছে।”

মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষায় ঈদে যার যার কর্মস্থলের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।

“তারপরও লোকজনের ঢল নামছে। তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও কাজ করছে।”

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ