ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জুমাতুল বিদায় দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা

প্রকাশনার সময়: ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৪১

রমজান মাসের শেষ জুমার নামাজে মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লির। প্রতিটি মসজিদে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। একইসঙ্গে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও জাকাত আদায় খুতবায় ইমামরা আহ্বান জানিয়েছেন।

জুমার দিনের স্বতন্ত্র ফজিলত অনেক বেশি। শুক্রবারকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রমজানের প্রতিটি জুমা ফজিলত ও তাৎপর্যের দিক থেকে অনন্য। আর বিদায়ী জুমা হিসেবে জুমাতুল বিদার মর্যাদা ও ফজিলত আরও বেশি।

আজ এবারের রমজানের শেষ জুমার দিন হওয়ায় নামাজ শুরুর অনেক আগে থেকেই মসজিদে ভিড় করতে থাকেন মানুষ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও ঢল নামে মুসল্লির। প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করেন।

বেলা একটা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর। মসজিদে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। অনেকে উত্তর গেটের বাইরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।

জাতীয় মসজিদে প্রথমে খুতবায় জুমাতুল বিদার তাৎপর্য তুলে করে বক্তব্য দেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। পরে নামাজ আদায় এবং মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ জাতির কল্যাণ কামনা ছাড়াও বিশ্বশান্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করা হয়। এছাড়া রোজায় তাকওয়ার যে চর্চা হয়েছে, বাকিটা বছর মুসল্লিরা যেন সেই চর্চা করতে পারেন মোনাজাতে সে দোয়াও করা হয়।

ইমামের সঙ্গে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনা করেন হাজারও মুসল্লি।

রমজানের শেষ জুমায় বায়তুল মোকাররম ছাড়াও হাইকোর্ট জামে মসজিদ, লালবাগ শাহী মসজিদ, চকবাজার শাহী মসজিদ, গুলশানের আজাদ মসজিদ, ধানমন্ডি সেন্ট্রাল মসজিদ, সোবহানবাগ মসজিদ, মহাখালীর মসজিদ গাউছুল আজম, বনানী বাজার মসজিদ, মহাখালী বায়তুল মাহফুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, মতিঝিল ওয়াপদা মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জামে মসজিদে লাখো লাখো মুসল্লি জুমাতুল বিদার নামাজ আদায় করেন। এসব মসজিদের নামাজের খুতবায় রমজানের বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরে বয়ান করা হয়।

এছাড়া সারাদেশের মসজিদগুলোতেও জুমাতুল বিদা পালিত হয় যথাযথ মর্যাদায়। সব মসজিদেই দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

জুমাতুল বিদার স্বতন্ত্র মর্যাদা ও তাৎপর্য সম্পর্কে হাদিসে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে এ দিনটি রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষলগ্নে এবার এর চেয়ে ভালো কোনোদিন আর পাওয়া যাবে না।

রমজানের শেষ জুমার দিনটি মুসলিম বিশ্বে প্রথম কেবলা 'বায়তুল মুকাদ্দেস', অর্থাৎ মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধারের দাবিতে আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়।

ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, রমজান মাসের শেষ শুক্রবার হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘মসজিদ আল-আকসা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য প্রতিবছর সারা বিশ্বের মুসলমানরা রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে ‘আল কুদস’ দিবস হিসেবে পালন করেন। এবারও আল কুদস দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ