ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদযাত্রায় ভোগান্তির নাম ফিটনেসবিহীন বাস

প্রকাশনার সময়: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৫২

বরাবরই ঈদযাত্রায় ভোগান্তির নাম ফিটনেসবিহীন বাস। যাত্রাপথে ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি। বিকল যানবাহনের যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। বিকল পরিবহনের পেছনের পরিবহনগুলোও থমকে যায়। সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর কারণও ফিটনেসবিহীন বাস। ফিটনেসবিহীন পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারির মধ্যে এবারো ঈদ সামনে রেখে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস নামানোর পুরোদমে তোড়জোড় চলছে। রাজধানীর নিকটস্থ জেলা শহরে এবং রাজধানীর বিভিন্ন রুটে গেটলক হিসেবে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলো প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী জেলায় চলাচল করে। এবারো প্রস্তুতি চলছে এসব পরিবহনের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রেক, চাকা, স্টিয়ারিং, গিয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ পার্টস দুর্বল থাকায় অনেক সময়ই চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি। ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী, গত ঈদুল ফিতরে মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যেও দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২২৪টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ২৮৩ জন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৩১৯ জন। যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় ১৮৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত ও ৬৫২ জন আহত হয়েছিল। এছাড়া ২০২০ সালের ঈদুল ফিতরে ১৪৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬২ জন নিহত এবং ২৭১ জন আহত হন। এর অধিকাংশ দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর কারণ ফিটনেসবিহীন বাস এবং অবহেলা ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো। আনফিট বা ফিটনসেবিহীন পরিবহনের পরিসংখ্যান নেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে অন্য বছরের মতো ভোগান্তি হবে না। রুট পারমিট ছাড়া এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো পরিবহন চলতে দেয়া হবে না। রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পেছনে খালের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, রংচটা, লক্কড়-ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ওয়ার্কশপ নেই কিন্তু সেখানে কাজ চলছে ঠিকই। কেউ বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছেন, কেউ বা ঘষামাজা আর রং মাখায় ব্যস্ত। এ তোড়জোড় শুধু গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকায়ই নয়, রাজধানীর আমিনবাজার, গাবতলী, মিরপুর, কোর্টবাড়ি, ডেমরা, কাজলা, শনির আখড়া, উত্তরার কামারপাড়ায় দেখা গেছে। গাবতলী বেড়িবাঁধের সড়ক দিয়ে সামনে এগুলোই অনেক ওয়ার্কশপ। কোনোটার নাম আছে কোনোটার নেই। সবখানে বাসের সংখ্যাই বেশি। রবরব, ইতিহাস, শান্তি পরিবহন, এসপি গোল্ডেন পরিবহন, ইসলাম পরিবহন, ওয়েলকাম, আলম, শ্যামলী হানিফ, ডিপজল, সেন্টমার্টিন, সৌদিয়া, ইউনিক পরিবহনসহ অসংখ্য পরিবহনের বাস মেরামত ও রং লাগানোর কাজ করতে দেখা যায়। সেখানে অধিকাংশ গাড়িতেই দেখা গেছে রঙের কাজকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ