বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর বুধবার (২৩ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগের সব শর্ত বহাল রেখে পঞ্চমবারের মতো বিএনপি প্রধানের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয় সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। মুক্তির জন্য সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি চারবার এভারকেয়ারে যান এবং তিনবার সেখানে ভর্তি হন, তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।
এরই মধ্যে ছয় মাস করে চারবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ