কথায় আছে মাঘের শীত নাকি বাঘের গায়েও লাগে। কথাটির মর্মার্থ হারে হারে টের পাচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। আবারও শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছেন তারা।
মাঘের কনকনে শীত আর হাওয়ায় কাঁপছে রংপুর অঞ্চল। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আদ্রতা ও গতিবেগ। তাপমাত্রা আরও নেমে যাওয়ার শঙ্কা আছে।
আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রংপুরে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দেশের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলেছে, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এছাড়াও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৩, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭ দশমিক ৮; রংপুরে ৮ দশমিক ২; ডিমলায় ৮ দশমিক ৪; নওগাঁয় ৭ দশমিক ৩; রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৫; চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক শূন্য এবং শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের আরও বেশ কিছু স্থানের ওপর দিয়ে একটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি বলেন, হিমেল বাতাসের প্রভাব ও গতিবেগের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এই বাতাসের কারণে কুয়াশা নেই।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ থাকলে দিনাজপুরবাসী সকালে সূর্যের দেখা পেয়েছে। তবে তেমন তাপ বিকিরণ করছে না। রয়েছে হিমেল বাতাসের প্রভাব। আর এসব মিলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ