ঢাকা, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট

৪০০ পেরোলো বাংলাদেশ

প্রকাশনার সময়: ২২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৪ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৪:১৪
টেস্ট সেঞ্চুরি মুমিনুল হকের। ছবি: এএফপি

কাল ইনিংসের শুরুতেই যখন সাইফ হাসান আউট হলেন, তখন শ্রীলঙ্কান বোলাররা কী ভেবেছিলেন যে এমন সময় অপেক্ষা করছে তাদের জন্য! ওভারের পর ওভার বোলিং করে যাবেন তারা সাফল্য ছাড়াই। ৯০ রান করে তামিম ইকবাল যখন ‘নড়বড়ে নব্বই’য়ে আউট হলেন, লঙ্কানরা হয়তো তখনো ভাবেননি তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন আর মুমিনুল হক তাদের এমন ভোগাবেন!

পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে শ্রীলঙ্কান বোলিং আক্রমণকে এমন নখদন্তহীন মনে হচ্ছে যে তাদের সঙ্গে ‘ভোগা’ শব্দটা খুব করেই যাচ্ছে। মুমিনুল আর নাজমুল গতকাল প্রথম দিন শেষ করেছিলেন ১৫০ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে। আজ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে এই জুটি থেমেছে ২৪২ রানে। নাজমুলের চোয়ালবদ্ধ ইনিংসের সমাপ্তিটা ঘটেছে যেভাবে, সেটিকে কিছুটা ‘অ্যান্টি ক্লাইমেক্স’ই বলা চলে। দুদিন ধরে ইনিংসটাকে যেভাবে গুছিয়েছিলেন, তার শেষটা ঠিক তেমনভাবে হয়নি। লাহিরু কুমারার বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন নাজমুল। শটটা একটু আগেভাগেই খেলে ফেলেছিলেন তিনি। তারপরেও নাজমুল দারুণ একটা ইনিংসই খেলেই আউট হয়েছেন ৩৭৮ বল খেলে তাঁর ইনিংসটি ছিল ১৬৩ রানের। ১৭টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কায় সাজানো তাঁর সেই ইনিংস। নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি বড় করে সেটির উদ্‌যাপনটা ভালোই হলো নাজমুলের। মুমিনুল অবশ্য শ্রীলঙ্কান বোলারদের সামনে এখনো ‘দেয়াল’ হয়ে আছেন। নাজমুলের বিদায়ের পর তাঁর সঙ্গী হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মুমিনুল ২৬৮ বলে অপরাজিত ১১৬ রানে। তাঁর ইনিংসে এখনো পর্যন্ত বাউন্ডারি ১০টি। কাল ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন। কিন্তু নিজের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে একটা পরিসংখ্যানগত সুনাম মুমিনুলের বরাবরই ছিল। নিজের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরিটা করে ফেলতে ২২৪ বল খেলতে হলো তাঁকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিটি যেকোনো বিচারেই মুমিনুলের জন্য বিশেষ কিছুই। অধিনায়কত্বের ভার কাঁধে ওঠার পর থেকে টেস্টে ভরাডুবিই বেশির ভাগ সময় সঙ্গী হয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও দেশের মাঠ ছাড়া সেঞ্চুরি করতে পারেন না—এমন একটা ‘দুর্নাম’ও নামের পাশে এঁটে গিয়েছিল। পাল্লেকেলেতে সেঞ্চুরি করে সেই দুর্নাম দূর করলেন। নিজের অধিনায়কত্বে টেস্টে একটা ভালো মুহূর্তও পেলেন। ক্রিকেটের বড় সংস্করণে নিজেদের প্রমাণ করারও তো একটা ব্যাপার ছিল।

চা বিরতির আগেই ৪০০ রানের কোটা পেরিয়েছে বাংলাদেশ। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪০৬। নাজমুল দলীয় ৩৯৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যাওয়ায় পাল্লেকেলেতে একটা রেকর্ডের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ কখনোই টেস্টে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪০০ তুলতে পারেনি। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ৩৯৯ রানে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ