ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুর্দিনে টিসিবির পণ্যে স্বস্তি, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশনার সময়: ১২ জুলাই ২০২১, ২০:৪৫ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১, ২০:৪৯

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর লকডাউনে দুর্দিনে সময় পার করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে টিসিবির পণ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে তাদের।

সোমবার রাজধানীর যেখানেই টিসিবির গাড়ি সেখানেই দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। তবে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। পণ্য নিতে আসা সিরিয়ালের দু’জন গ্রাহকের মাঝে নেই কোনো ফাঁকা।

অধিকাংশ ক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। অথচ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেককে অন্তত ১ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে বলেছেন। সিরিয়ালে দাঁড়ানো বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। কিছু সময় পরপর ওই সিরিয়াল থেকে একটি ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল, ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডালের প্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। পণ্য হাতে পেয়ে দিচ্ছেন বিজয়ের হাসি।

বর্তমান বাজারে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। যা অস্বস্তিতে ফেলেছে ক্রেতাদের। সাধারণ ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তিনটি নিত্যপণ্যে (সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি) ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে। সারাদেশে ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গত ৫ জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি ও মসুর ডাল এবং ১০০ টাকা লিটার হিসেবে সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন। এ কার্যক্রম চলবে আগামি ২৯ জুলাই পর্যন্ত।

সোমবার রাজধানীর রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনের রাস্তায় নীল রঙের একটি ট্রাক ঘিরে মানুষের বিশাল লাইন। রাস্তা বেঁকে মানুষের লাইন গিয়ে ঠেকেছে হাতিরঝিলের রাস্তায়।

পণ্য নিতে আসা অভি ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পেয়েছেন টিসিবির পণ্য।

তিনি বলেন, ‘পণ্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। দোকান বন্ধ থাকায় মালিক গত মাসের বেতন এখনও দেয়নি। তাই কম দাম পেয়ে এখান থেকে নিচ্ছি। সকালের দিকে আরও ভিড় ছিল। আমি প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে এসব পণ্য পেয়েছি।’

ওই টিসিবির ট্রাকের পরিচালক সবুজ বলেন, ৭০০ কেজি চিনি, ৪০০ কেজি ডাল এবং এক হাজার লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে আমরা বের হয়েছি। এখানে পৌঁছেছি সকাল ১১টার দিকে। এখন প্রায় সবই শেষের দিকে। এখানে মানুষ লাইন ধরেছে ঠিকই। কিন্তু কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, দূরত্ব মানছে না। বারবার বললেও আমাদের কথা মূল্যায়ন করছেন না কেউ।

রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ মোড়, দয়াগঞ্জ মোড়, পল্টন, নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে টিসিবির পণ্য পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে পণ্য পাওয়ায় সব কষ্ট ভুলে গেছেন তারা। যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের হাতে ছাতা ও বাজারের ব্যাগ দেখা গেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব মানতে অনেকটা অনীহা তাদের।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ