অযৌক্তিকভাবে কাউকে যাতে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা না হয়, সে জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। সোমবার রাতে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বাসায় যায়। বৈঠকে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, গত রাত ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রবেশের আগে গেটের বাইরে হেফাজত নেতারা বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করেন। পরে তাঁরা বাসার ভেতরে ঢোকেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে মাওলানা মাহফুজুল হক গত রোববার গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ভাই।
বৈঠক সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে কথা হয়। হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে নন। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো আন্দোলনের কর্মসূচিও ছিল না। তাঁরা আরও বলেছেন, হেফাজতের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা খুলে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মুঠোফোনে বলেন, হেফাজত নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁদের তিনি বলেছেন, পুলিশ নিরীহ কাউকে হয়রানি করছে না। যারা ভাঙচুর–সহিংসতায় জড়িত, শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যা করা হচ্ছে, সব আইন অনুযায়ীই হচ্ছে। আর মাদ্রাসা খুলে দেওয়া বা বন্ধের সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একার কোনো বিষয় নয়।মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ