সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের শিকার নিহতদের পরিচয় শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে শহরের পৌর মিনিপার্ক এলাকায় ডিএনএ টেস্টের জনু নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। ঢাকা ফরেনসিক বিভাগ, বরিশালের ক্রাইম সিন ও ঝালকাঠির সিআইডির সমন্বয়ে একটি টিম ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে।
অভিযান-১০ লঞ্চে দগ্ধ হয়ে নিহত ৩৯ জনের মধ্যে ২৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন ও সন্তানদের মধ্যে যে কোনো এক জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা ফরেনসিক বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের দুটি টিম মাঠে রয়েছে। একটি বরগুনায়, আরেকটি ঝালকাঠিতে। ঝালকাঠিকে আজ তিন জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যারা তাদের স্বজন হারানোর দাবি করছে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, আমরা যাদের লাশ উদ্ধার করে হস্তান্তর করেছি তাদের প্রত্যেকের ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। তখন প্রতিটি নমুনার একটি আইডি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এখন স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সকল নমুনা সংগ্রহ করে পূর্বের নমুনার আইডি নম্বরসহ ফরেনসিক বিভাগ ও সিআইডি ঢাকা পাঠাবে। এরপর যে মৃতদেহের নমুনার আইডির সঙ্গে স্বজনদের নমুনা মিলে যাবে, তারা বুঝতে পারবে দাফন করা আইডি সংযুক্ত কবরটি তার স্বজনের।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদরের দিয়াকুল গ্রামের কাছে সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লেগে যায়। লঞ্চটি প্রায় আটশ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা যাবার পথে ঝালকাঠিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কাছে ৪১ জন নিখোঁজ শিশু, নারী ও পুরুষ যাত্রীর তালিকা দিয়েছে তাদের স্বজনরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল দিয়াকুল থেকে শহরের লঞ্চঘাটে নিয়ে আসা লঞ্চটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ