ঢাকা, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
সুগন্ধা ট্র্যাজেডি

অনিয়মের যোগফল আগুন

প্রকাশনার সময়: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:১০
সংগৃহীত ছবি

অনুমতি ছাড়াই বদলে ফেলা হয় ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চের ইঞ্জিন। সেই ইঞ্জিনের ত্রুটি থেকেই প্রচণ্ড উত্তাপের সৃষ্টি। আর এ তাপ থেকেই সূত্রপাত ঘটে আগুনের। রাত পৌনে ১টায় আগুন লাগার পরও যাত্রীদের সতর্ক করেনি লঞ্চের কর্মচারীরা। এর পর কেটে যায় প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। তারপরেও নেয়া হয়নি যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেয়ার উদ্যোগ।

লঞ্চটিতে ছিল না ইঞ্জিন রুমে অটোমেটিক ফায়ারিং ফোম স্প্রে সিস্টেম। কর্মীদের ছিল না ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ। ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র ও সেফটি ইক্যুইপমেন্ট। বেআইনিভাবে ইঞ্জিন রুমের পাশে রাখা হয়েছিল ক্যান্টিন এবং তেলের ব্যারেল। খোলা ছিল ইঞ্জিনের ভেতর ও বাইরের রুম। ইঞ্জিন রুমের বাইরেও ছিল না ফায়ারিং পাম্প। সঙ্গে লঞ্চের মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ কর্মচারীদের ছিল দায়িত্বহীনতা। এত সব অনিয়মের যোগফলই হলো এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের আগুন। যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ৪২ তাজা প্রাণ। এখনো নিখোঁজ প্রায় ৫০ জন। তবে লঞ্চের কর্মরত কোনো কর্মচারীর মৃত্যু হয়নি। নিখোঁজও নেই কেউই। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।

তবে লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখের দাবি, লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল। আগুনের ঘটনাটি পরিকল্পিত। কারণ ইঞ্জিনরুমের আগুন ইঞ্জিনরুমেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং সেখানেই নেভানো যায়। গত ১০ মাসে দুইবার এই লঞ্চটির দুর্ঘটনা হয়েছিল। তবে সেসব ঘটনায় কোনো প্রাণহানি হয়নি। গত নভেম্বরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লঞ্চটির ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হওয়ার পর নতুন ইঞ্জিন বসানো হয়।’

নৌপরিবহন অধিদফতর সূত্রমতে, অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক অনুমতি না নিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিন বদলেছেন। আগে এ লঞ্চে ৫৫০ হর্স পাওয়ারের দুটি ইঞ্জিন থাকলেও তা পাল্টে ৭২০ হর্স পাওয়ারের দুটি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর লঞ্চটির দ্বিতীয় যাত্রা শুক্রবার। এটিকে ‘ট্রায়াল ট্রিপ’ (পরীক্ষামূলক যাত্রা) বলা যায়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিনের ত্রুটি এবং দায়িত্বশীলদের গাফিলতির তথ্য পেয়েছেন। ঘটনায় লঞ্চের মালিক ও চালকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জানা যায়, অভিযান লঞ্চের ইঞ্জিন রুমের সঙ্গেই ছিল রান্নাঘর। নিয়ম না মেনে সেখানে রান্নাঘর স্থাপন করা হয়। অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি। লঞ্চের ইঞ্জিন রুমের বাইরে কোনো ফায়ারিং পাম্পের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস কৃর্তপক্ষ।

এ বিষয়ে সুন্দরবন-১১ লঞ্চের চালক আবদুস সালাম মৃধা বলেন, বড় লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে রান্নাঘরের দূরত্ব বেশি থাকলেও ছোট আকৃতির লঞ্চগুলোতে রান্নাঘর একদম লাগোয়া থাকে। রান্নার কাজে ব্যবহার করা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে মূলত ইঞ্জিনের নজেল থেকে। লঞ্চটিতে দুইটি ইঞ্জিন থাকলেও এর মধ্যে একটি ইঞ্জিনের ৬ নম্বর ইন্ডিকেটর নজেল (নাট) খোলা ছিল। একই ইঞ্জিনের গ্যাস সিলিন্ডারের এয়ার-ট্যাব ভাঙা পাওয়া গেছে। কোন অবস্থায় ইঞ্জিন রুমের পাশে ক্যান্টিন থাকার কথা নয় এবং তেলের ব্যারেল রাখাও বেইআইনি। তবে এই লঞ্চটিতে দুইটি দেখা গেছে। ইঞ্জিন রুমের পাশে ক্যান্টিন থাকার পরও সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ার লঞ্চটিকে চলাচলের উপযোগী বলে মতামত দিয়েছেন।

ইঞ্জিন রুম খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে নদী ও নৌ পরিবহনবিষয়ক গবেষক আশীষ কুমার দে নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘অবশ্যই ইঞ্জিনের রুম বন্ধ থাকবে। তবে এমভি অভিযান লঞ্চে ইঞ্জিনের ভেতরে ও বাইরের রুম খোলা ছিল। এই রুম খোলার রাখার দায়-দায়িত্ব লঞ্চের চালকদের ওপর বর্তায়।’ তিনি বলেন, ‘আসলে ৫০০ ধারণক্ষমতার লঞ্চে ৬০০-৭০০ যাত্রী নিলেও সাধারণ ডুবে না। ফলে এখানে ওভারলোড কোনো সমস্যা না।’

ইঞ্জিন রুমে অটোমেটিক ফায়ারিং ফোম স্প্রে বিষয়ে জানতে চাইলে আশীষ কুমার বলেন, এমভি অভিযান-১০ এর ফোম স্প্রে ছিল না। বেশিরভাগ লঞ্চেই এই সিস্টেম নেই। তবে বাইরের দেশে জাহাজগুলোতে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। লঞ্চে কমপক্ষে ২০টি অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র থাকার কথা থাকলেও সেটি ১০টি ছিল। তবে সেগুলোও অকেজো। কারণ কখনো ব্যবহার করা হয়নি। যাত্রীদের বা লঞ্চের স্টাফদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য কোনো মহড়ার উদ্যোগ নেয়া হয় না। লঞ্চে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে কি কি করতে হবে, সে রকম কোনো ঘোষণা দেয়ারও ব্যবস্থা নেই।

নৌপরিবহনবিষয়ক এই গবেষক বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কারোই ফায়ার ফাইটিং ট্রেনিং নেই। তবে এই পদে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় না। ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণও ভিন্ন জায়গা থেকে নিতে হয়। যেমন বনবিভাগে বোটম্যান শূন্য পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। তবে সেখানে কেউ নৌকায় চালায় না, স্পিডবোড চালায়, সেখানেও আলাদা চালক রয়েছে। ঠিক তেমনি ফায়ারিং পদে অন্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। সাধারণ যাত্রীদের জীবন কথা চিন্তা করে না তারা। তদন্ত রিপোর্টও প্রকাশ করা হবে না।

তিনি বলেন, রাত পৌনে একটায় নীচতলার ডেক আগুনের গরমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যাত্রীরা লঞ্চের স্টাফদের বল তখন জানায় মাঝে মাঝে এমন হয়। ঠিক হয়ে যাবে। এরপর আড়াইটার দিকে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা সময় ধরে আগুন জ্বলছিল। এর মধ্যে ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে লঞ্চ নদীর পাড়ে যেতে পারতো। তাহলে এতো মানুষ মারা যেত না।

এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা প্রশ্নের জবাবে আশীষ কুমার বলেন, কেউ কেউ বলছেন এটা ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত। আমি মনে করি, এটা দায়িত্বে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে গাফলতির কারণেই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।

লঞ্চে পর্যাপ্ত সেফটি ইকুপমেন্ট আছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, লাইফ জ্যাকেট বা লাইফ বয়া কিছু কিছু লঞ্চে পর্যাপ্ত আছে। বিশেষত— আধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চে এটি রয়েছে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার বুঝতে পারেন সেখানে তারা দায়সারা থাকলে মালিকপক্ষের কিছু করার থাকে না। সবমিলিয়ে লঞ্চর মালিক, ফিটনেস পরীক্ষা, সার্ভেয়ার অফিসার, ডিজাইনার কমবেশি সবার গাফিলতি রয়েছে।

জানতে চাইলে ঝালকাঠি ডিসি জোহর আলী নয়া শতাব্দীকে বলেন, এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের স্টাফদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আগুন লাগার পরপরই সবাই লঞ্চে থেকে নেমে গেছেন।

আগুন লাগার পর প্রায় পৌণে দুই ঘণ্টা লঞ্চ চলল কেন এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি পুরো বিষয়টি নিয়েই তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে এখনই কোনোকিছু বলতে পারছি না।’

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে নৌপুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বরিশাল জোন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, ‘চালক বা ইঞ্জিনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের গাফিলতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওয়তায় আনা হবে। তদন্তের পর আরো বিস্তারিত জানা যাবে।’

লঞ্চের যাত্রী ফারুক হোসেন ও ইতালি প্রবাসী সাদিক মৃধা জানান, সদরঘাট থেকে যাত্রার পর থেকেই লঞ্চটির গতি ছিল বেপরোয়া। ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় চারজন টেকনিশিয়ান তা সারাতে কাজ করছিলেন। মেরামতের অংশ হিসেবে সর্বোচ্চ গতিতে দুটি ইঞ্জিন চালিয়ে ট্রায়াল দেয়া হচ্ছিল। ইঞ্জিনের ভেতরে জমে যাওয়া গ্যাস বের করতে পুরো গতিতে লঞ্চটিকে নিয়ে গিয়েছিল। আর এতেই মূলত ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপে আগুন ধরে যায়।

তারা আরো বলেন, ইঞ্জিনের ত্রুটি খুঁজে পেতে পুরো গতিতে দুটি ইঞ্জিনই চালাচ্ছিলেন তারা। বেপরোয়া গতির কারণে লঞ্চটি কাঁপছিল। লঞ্চটিতে অগ্নিনির্বাপকের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আর আগুন লাগার পরপরই মালিক ও স্টাফরা যাত্রীদের রেখে লঞ্চ থেকে সটকে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগুন লাগলে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে বিষয়ে লঞ্চের কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র থাকলেও তা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেটিও জানেন না লঞ্চের কর্মীরা। ফলে চলন্ত অবস্থায় লঞ্চে আগুন লাগলে হয় পানিতে ঝাঁপ দিতে হবে, নয়তো উদ্ধারকারীদের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।

জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকার সদরঘাট স্টেশনের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু সায়েম বলেন, ‘লঞ্চের কর্মীদের অগ্নিনির্বাপণযন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা নেই। এমনকি লঞ্চ ডুবে গেলে যাত্রীরা কীভাবে জীবন রক্ষাকারী বয়া (পানিতে ভেসে থাকার সরঞ্জাম) ব্যবহার করবেন, সে সম্পর্কেও তারা ভালোভাবে জানেন না। বেশিরভাগ লঞ্চের মধ্যে বয়া এত শক্ত করে বাঁধা থাকে যে এগুলো প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করার মতো অবস্থা থাকে না।’

লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখ বলেন, ‘লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না, ত্রুটি থাকলে নামাতে পারতাম না। মাত্র দুই মাস হলো জাপানি নতুন ইঞ্জিন সংযোজন করেছি। লঞ্চটিতে অন্তত ২১টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল।’ যদি যন্ত্র থাকে, তাহলে সেগুলো ব্যবহার করে কেন আগুন নেভানো গেল না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সেগুলো ব্যবহার করা যায়নি। আমার কোনো লঞ্চের ইনস্যুরেন্স নেই। তবে অন্য কারোর কোনো লঞ্চে ইনস্যুরেন্স নেই।

জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদফতরের সার্ভেয়ার মাহবুবুর রশিদ নয়া শতাব্দীকে বলেন, কাঠামোগত পরিবর্তন বা ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তনের আগে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চের বিমা বাধ্যতামূলক। অভিযান-১০ লঞ্চের কাজগপত্র দেখে বলতে হবে বিমা ছিল কি না।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে ২২১টির মতো যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮৫টি লঞ্চ ঢাকা থেকে ছাড়ে। সদরঘাট টার্মিনালে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারীদের জন্য অগ্নিমহড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আর মালিকেরা আবেদন না করলে লঞ্চের কর্মীদের জন্য অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ বা মহড়ার ব্যবস্থা ফায়ার সার্ভিস করে না।

গত দুই বছরের মধ্যে শুধু ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলা এমভি মানামী লঞ্চে একবার অগ্নিমহড়া করা হয়েছে। নৌ অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধের মূল দায়িত্ব ঢাকার শ্যামপুরের বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে অবস্থিত ‘রিভার ফায়ার স্টেশনের। বিশেষ এ ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মালেক মোল্লা বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে জন্য তারা সচেতনতামূলক প্রচার চালালেও কোনো মহড়া বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় না।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ