ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন, বিজয়ী হলেন যারা

প্রকাশনার সময়: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৪০

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেশে চলমান দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ৮৩৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ধাপে ৩৮টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে_

পটুয়াখালী

বেসরকারি ফলাফলে পটুয়াখালীর দুই উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের পাঁচটিতে নৌকা, একটিতে বিদ্রোহী ও একটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. বাবুল মিঞা, টিয়াখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা ও চাকামইয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রে ৪৯ হাজার ৭৫৩ জন ভোটারের মধ্যে শতকরা ৭৪ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

অপরদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মু. জাহিদুর রহমান, চরমোন্তাজ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের একে শামসুদ্দিন আবু মিয়া, রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সাইদুজ্জামান মামুন খান, ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের এ বি এম আবদুল মান্নান বিজয়ী হয়েছেন। এ চারটি ইউনিয়নের ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ৮৩৭ জন এবং ৩১ হাজার ২৯২ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

মানিকগঞ্জ

জেলার সাটুরিয়া ও ঘিওর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ৯ জন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, চারজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপির তিনজন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার রাতে জেলা নির্বাচন অফিস ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, জেলার ঘিওর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে তিনজন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন ও বিএনপি দুইজন বিজয়ী হয়েছেন।

সাটুরিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন ও বিএনপির একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ঘিওর উপজেলায় নির্বাচিতরা হলেন- বড়টিয়া ইউনিয়নে সামসুল আলম মোল্লা রওশন (নৌকা), নালী ইউনিয়নে আব্দুল কুদ্দুস মধু (নৌকা), পয়লা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হারুন-অর-রশীদ (নৌকা), ঘিওর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল, সিংজুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু মো. আসাদুর রহমান মিঠু, বানিয়াজুরীতে এসআর আনসারি বিল্টু (বিএনপি) ও বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে মো. আওয়াল খান(বিএনপি)।

অন্যদিকে সাটুরিয়া উপজেলায় নির্বাচিতরা হলেন- ধানকোড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ (নৌকা), তিল্লী ইউনিয়নে শরীফুল ইসলাম (নৌকা), হরগজ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান (নৌকা), দিঘুলিয়া ইউনিয়নে সফিউল আলম (নৌকা), দরগ্রাম ইউনিয়নে আলীনুর বকস (নৌকা), সাটুরিয়া ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন (নৌকা), বালিয়াটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী, বরাঈদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী মো. আব্দুল হাই ও ফকুরহাটি ইউনিয়নে মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (বিএনপি)।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রাথী (চশমা) আবু বকর ছিদ্দিক ৪ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতের আমির। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী (কাপ-পিরিচ) সাজু প্রামানিক পেয়েছেন ৩ হাজার ২১০ ভোট।

অপরদিকে, বরিশাল ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ৪ হাজার ১১৭ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (সদ্যবহিষ্কৃত)। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল) শামীম আহম্মেদ পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৩২ ভোট। তিনি বরিশাল ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।

রোববার রাত ৯টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনূর আলম বেসরকারীভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী

নোয়াখালী সদর ও কবিরহাট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯টিতে আওয়ামী লীগ এবং সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার রাতে তাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম।

তিনি বলেন, সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন বাবলু, কাদির হানিফ ইউনিয়নে রহিম চৌধুরী, নেয়াজপুর ইউনিয়নে আমির হোসেন বাহাদুর ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নে গোলাম হোসেন বাবলু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন, এওজবালিয়া ইউনিয়নে মো. বেলাল হোসেন, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে ফয়সাল বারি চৌধুরী, কালাদরাফ ইউনিয়নে শাহাদাত উল্যাহ সেলিম ও আন্ডারচর ইউনিয়নে মো. জসিম উদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কবিরহাট উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রার্থী নরোত্তমপুর ইউনিয়নে এ কে এম সিরাজ উল্লাহ সিরাজ, বাটইয়া ইউনিয়নে জসিম উদ্দিন শাহীন, চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে মহিউদ্দিন টিটু, ঘোষবাগ ইউনিয়নে এ কে এম আলাউদ্দিন ভূইয়া ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে মো. কামাল খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও কবিরহাট উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সুন্দলপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ইলিয়াস ও ধানশালিক ইউনিয়নে মো. শাহাবুদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মাগুরা

জেলার শ্রীপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ছয়টিতে নৌকা এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবু দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচিতরা হলেন- গয়েশপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আব্দুল হালিম, আমলসার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সেবানন্দ বিশ্বাস, শ্রীকোল ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া, শ্রীপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মসিয়ার রহমান, দরিয়াপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুস সবুর, কাদিরপাড়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব হোসেন খান, সব্দালপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পান্না খাতুন ও নাকোল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের হুমাউয়ুনূর রশীদ মুহিত।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৯টি ও তালা উপজেলার একটিসহ ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের তিনজন ও বাকী সাত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটগণনা শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ, সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ, নুরনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বখতিয়ার আহমেদ, কৈখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম, দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জি এম মাসুদুল আলম, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত সমর্থিত হাজী নজরুল ইসলাম, রমজাননগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী শেখ আল মামুন, পদ্মপুকুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. আমজাদুল ইসলাম, আটুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আবু সালেহ ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অসীম কুমার মৃধা।

এদিকে তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আজিজুর ইসলাম জয়লাভ করেছেন।

নরসিংদী

জেলার পলাশ উপজেলার দুটি ও মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে চারটিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ও সাতটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ীরা হলেন- পলাশ উপজেলার জিনারদীতে কামরুল ইসলাম গাজী (নৌকা), চরসিন্দুর ইউনিয়নে মোফাজ্জল হোসেন রতন (নৌকা), মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়িতে আব্দুর রউফ হিরন(নৌকা), শুকুন্দিতে সাদিকুর রহমান শামীম (নৌকা), কাচিকাটায় মোবারক হোসেন খান কনক (স্বতন্ত্র), বড়চাপায় এম সুলতান উদ্দিন (নৌকা), লেবুতলায় জাকির হোসেন আকন্দ (নৌকা), গোতাশিয়ায় আবুল বরকত রবিন (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে শরীফ মাহমুদ খান বাহালুল (স্বতন্ত্র), চালাকচরে ফখরুল মান্নান মুক্তু (নৌকা) এবং একদুয়ারিয়া ইউনিয়েনে মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক (স্বতন্ত্র)।

মুন্সিগঞ্জ

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা ১৪টি ও লৌহজং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে নৌকা প্রতীক ও বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচিতরা হলেন- চিত্রকোট ইউনিয়নে শামসুল হুদা বাবুল (নৌকা),শেখরনগরে দেবব্রত সরকার (নৌকা), রাজানগরে মজিবর রহমান (নৌকা), কেয়াইনে আশ্রাফ আলী (নৌকা), বাসাইলে মো. সাইফুল ইসলাম (নৌকা), রশুনিয়ায় অ্যাডভোকেট আবু সাইদ (আনারস), বালুচরে আওলাদ হোসেন (আনারস), লতব্দীতে হাফিজ ফজলুল হক (আনারস), ইছাপুরায় সুমন মিয়া (মোটরসাইকেল),বয়রাগাদীতে গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ (আনারস),মালখানগরে সানজিদা আক্তার (নৌকা), মধ্যপাড়ায় করিম শেখ (নৌকা), জৈনসারে রফিকুল ইসলাম দুদু (আনারস) ও কোলা ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মিন্টু (আনারস)।

অন্যদিকে, লৌহজং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিতরা‌ হলেন- বৌলতলী ইউনিয়নে হাজী আব্দুল মালেক শিকদার (আনারস), খিদিরপাড়ায় আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), বেজগাঁওয়ে ফারুক ইকবাল মৃধা (নৌকা), কনকসারে বিদ্যুত আলম মোড়ল (আনারস) ও কলমা ইউনিয়নে আব্দুল মোতালেব শেখ (কলম)।

উল্লেখ্য, লৌহজং উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে এর আগে চারটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অপর একটি ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জটিলতা থাকায় ওই ইউনিয়নে এবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।

নীলফামারী

নীলফামারীর দুই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে ১২টি ইউনিয়নের ৩টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাকের পার্টি এবং বাকি ৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

এর মধ্যে ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বাকি পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিতরা হলেন- ডিমলা সদরে আবুল কাশেম সরকার (নৌকা), পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে আনোয়ারুল হক সরকার (নৌকা), পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ সরকার (আনারস), ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে একরামুল হক চৌধুরী (ঘোড়া), বালাপাড়া ইউনিয়নে জাহেদুল ইসলাম (আনারস), নাউতারা ইউনিয়নে আহমেদ ইমতিয়াজ (আনারস) ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নে শহিদুজ্জামান সরকার (ঘোড়া)।

এছাড়াও সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাকের পার্টি ও বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এদের মধ্যে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহজাদা সরকার (নৌকা), কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে জাকের পার্টির নান্চু হাসান চৌধুরী (গোলাপ ফুল), খাতা মধুপুর ইউনিয়নে মাসুদ রানা পাইলট (মোটরসাইকেল), কামারপুকুর ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন সরকার (মোটরসাইকেল) ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান জুন (ঘোড়া) নির্বাচিত হয়েছেন।

ডিমলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবা আকতার এবং সৈয়দপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন।

নেত্রকোনা

চতুর্থ ধাপে নেত্রকোনা সদর উপজেলার একটি, মোহনগঞ্জ উপজেলার সাতটি ও খালিয়াজুরি উপজেলার চারটি ইউনিয়নসহ ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১২টির মধ্যে আটটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রাথী জয়লাভ করেছেন। রোববার রাতে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলার সাত ইউনিয়নে বিজয়ীরা হলেন- বরকাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নে মোতাহার হোসেন চৌধুরী (নৌকা), বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নে মো. সোহাগ তালুকদার (ঘোড়া), তেতুঁলিয়া ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জহর (নৌকা), মাঘান-শিয়াদার ইউনিয়নে আবু বকর সিদ্দিক (নৌকা), সমাজ-সহিলদের ইউনিয়নে আমিনুল হক সোহেল (নৌকা), সুয়াইর ইউনিয়নে কামরুল হাসান সেলিম (নৌকা) ও গাগলাজুর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা)।

খালিয়াজুরী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে তিনটিতেই নৌকার পরাজয় ঘটেছে। খালিয়াজুরীতে জয়লাভ করেছেন চাকুয়া ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে শামীম মোড়ল (ঘোড়া), নগর ইউনিয়নে দেবেশ চন্দ্র তালুকদার (আনারস) ও গাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ স্বাধীন (আনারস)।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে স্থগিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান ফারাস দিলীপ জয়লাভ করেছেন।

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ১টি ও সোনাগাজী উপজেলার ৭টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সোনাগাজীতে শুধুমাত্র নবাবপুর ছাড়া বাকী ৬ ইউপিতে নৌকা প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। দাগনভূঞার একমাত্র ইউনিয়ন জায়লস্কর ইউপিতে তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মামুনুর রশীদ মিলন।

দাগনভূঞা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫টিতে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রোববার এ উপজেলায় শুধুমাত্র জায়লস্কর ইউপিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মামুনুর রশীদ মিলন ১৬ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নের একমাত্র স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২১৯ ভোট।

এদিকে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মাঝে মঙ্গলকান্দি ও মতিগঞ্জ ইউপিতে একক প্রার্থী থাকায় নৌকা প্রার্থীদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বাকী ৭টি ইউপিতে রোববার দিনভর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে ৬টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয় লাভ করলেও নবাবপুর ইউপিতে বিএনপি সমর্থক জহিরুল আলম জয় লাভ করেন।

এ উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন_ চরমজলিশপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমএ হোসেন, বগাদানা ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী আলাউদ্দিন বাবুল, চরদরবেশ ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী নুরুল ইসলাম ভূট্টো, চরছান্দিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন, সোনাগাজী সদর ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উম্মে রুমা, আমিরাবাদ ইউপিতে নৌকা প্রার্থী আজিজুল হক হিরণ ও নবাবপুরে বিএনপি সমর্থক জহিরুল আলম জহির।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের মধ্যে তিনটির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

রোববার হামলা, ভাংচুর, সংঘর্ষ, ভোট বর্জন, কারচুপি, কেন্দ্র দখল, অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যে দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চার ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোটগণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

আলুকদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগে আবুল কালাম আজাদ, মোমিনপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পদ্মবিলাতে নৌকার মো. আলম নির্বাচিত হয়েছেন। কুতুবপুর ইউনিয়নে একটি কেন্দ্র্রে ভোট গ্রহন স্থগিত থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান এগিয়ে রয়েছেন।

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের তিন উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাত জন, স্বতন্ত্র (বিএনপি) চারজন, স্বতন্ত্র (আওয়ামী বিদ্রোহী) ৯ জন, জাতীয় পার্টির একজন চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার সাত ইউনিয়নে বেসরকারীভাবে বিজয়ীরা হলেন_ পাটলীতে নৌকা প্রতীকে আঙ্গুর মিয়া, রানীগঞ্জে নৌকা প্রতীকে ছদরুল ইসলাম, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে নৌকা, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল, কলকলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিক আহমদ। আশারকান্দিতে স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী আইয়ুব খান,পাইলগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মখলুছ মিয়া ঘোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ৮শ ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক মিয়া চশমা প্রতীকে ৪ হাজার ৪শ ৭১ ভোট পেয়েছেন।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সুলোকাবাদা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে নুরে আলম সিদ্দিকী তপন বিজয়ী হেয়েছেন। এছাড়া পলাশ ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী মো. সুহেল আহমদ সুহেল, ধনপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী মো. মিলন মিয়া, দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র(বিএনপি) প্রার্থী অ্যাড. ছবাব মিয়া ও ফতেহপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে মো. ফারুক মিয়া বিজয়ী হয়েছেন।

দিরাই উপজেলায় নয়টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে রফিনগর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শৈলেন্দ্র কুমার তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া করিমপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে লিটন চন্দ্র দাস লিটু, জগদল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে হুমায়ুন রশীদ লাভলু, ভাটিপাড়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতাহ, রাজা নগর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল, চরনারচর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী পরিতোষ রায়, সরমঙ্গল ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল, তাড়ল ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী আলী আহমদ, কুলঞ্জ ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী একরার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪ টি ইউনিয়নে নৌকা ও ৬ টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

২০ টি ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন_ ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন নৌকা-মনিরুল হক বাবু, ২নং আখানগর ইউনিয়ন নৌকা-রোমান বাদশা, ৩নং আচঁকা ইউনিয়ন নৌকা-সুব্রত কুমার বর্মন, ৪নং বালিয়া ইউনিয়ন স্বতন্ত্র ঘোড়া-জুলফিকার আলী ভুট্টো, ৫নং আউলিয়াপুর ইউনিয়ন নৌকা-আতিকুর রহমান, ৬নং চিলারং ইউনিয়ন স্বতন্ত্র মটরসাইকেল-ফজলুর রহমান, ৭নং রহিমানপুর ইউনিয়ন স্বতন্ত্র মটরসাইকেল-আবু হাসান হান্নু, ৮নং রায়পুর ইউনিয়ন নৌকা-নুরুল ইসলাম, ৯নং জামালপুর ইউনিয়ন স্বতন্ত্র আনারস-মোস্তাক, ১০নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন নৌকা-সোহাগ হোসেন, ১১নং সালান্দর ইউনিয়ন স্বতন্ত্র ঘোড়া-ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী, ১২নং গড়েয়া ইউনিয়ন নৌকা-রইছউদ্দিন সাজু, ১৩নং রাজাগাঁও ইউনিয়ন নৌকা-খাদেমুল ইসলাম সরকার, ১৪নং দেবীপুর ইউনিয়ন নৌকা-মোয়াজ্জেম হোসেন, ১৫নং নারগুন ইউনিয়ন নৌকা- শেরেকুল ইসলাম, ১৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন স্বতন্ত্র ঘোড়া-মোস্তাফিজুর লিটন, ১৭নং শুকানপুকুর ইউনিয়ন নৌকা-আনিসুর রহমান, ১৮নং বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন নৌকা-বনি আমিন, ১৯নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন নৌকা-অনিল কুমার সেন, ২০নং ঢোলোর হাট ইউনিয়ন নৌকা-অখিল চন্দ্র রায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়নগরের ১০টি এবং আখাউড়ার ৫টি ইউনিয়ন। তবে আখাউড়ায় প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা।

রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফলাফল অনুযায়ী বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছায়িদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৭ হাজার ৩৫৮ ভোট, চান্দুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীউল হক চৌধুরী ৪ হাজার ২০৯ ভোট, ইছাপুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক বকুল আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৫৪৬ ভোট, চম্পকনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন চৌধুরী দুই পাতা প্রতীকে ২ হাজার ৪২৫ ভোট, হরষপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারোয়ার রহমান ভূইয়া ৬ হাজার ২৫২ ভোট, পত্তন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তাজুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে ৬ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ৯ হাজার ৪২৯ ভোট, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল উদ্দিন চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৯২৩ ভোট, চরইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দানা মিয়া ভূইয়া ৩ হাজার ৪৮২ ভোট ও পাহাড়পুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম ১০ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে ৫ হাজার ৭৮৫ ভোট, ধরখার ইউনিয়নে সফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার ৬৯২ ভোট, মোগড়া ইউনিয়নে আব্দুল মতিন চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৭২৭ ভোট, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নে মো. শাহজাহান টেলিফোন প্রতীকে ২ হাজার ৫১০ ভোট এবং আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে জালাল উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ