নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘লঞ্চে আগুনে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা প্রাথমিকভাবে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহত-দগ্ধদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার।’ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) আগুনে পোড়া লঞ্চ ও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আগুন লাগে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।’
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ