অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তারা। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) আবেদনের শুনানি চলাকালীন মৌখিকভাবে তামিমা আদালতেকে জানিয়েছেন, তিনি গর্ভবতী।
তবে বিচারাধীন মামলাটির রায় হওয়ার পর নাসির যদি তামিমার স্বামী হিসেবে বৈধতা না পান তাহলে তামিমার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েই প্রশ্ন উঠবে বলে জানিয়েছেন রাকিবের আইনজীবী ইসরাত হাসান।
ইসরাত হাসান জানান, আদালতে তামিমা বলেছেন, তিনি ছয় মাসের গর্ভবতী। কিন্তু যেখানে স্বামীর বৈধতার বিষয়টিই এখনও মীমাংসা হয়নি সেখানে তামিমার গর্ভের সন্তান নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হবে। যদি রাকিব এই মামলায় জেতেন তাহলে এই সন্তানের ভরণ-পোষনের বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে, নাসির স্বামী হিসেবে বৈধতা না পেলে তামিমার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েও উঠবে প্রশ্ন।
আগের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ের ইস্যুতে মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরার আবেদনটি আদালতে নাকচ হলেও তারা তিনজনই আগের শর্তে জামিন পেয়েছেন। শর্ত অনুযায়ী তাদের নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, দুই মাস আগে মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছিলেন তারা।
আজ (২০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন। একই সাথে অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
নাসির-তামিমা ও তার শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তামিমা বাদীর সাথে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেছেন। তামিমা বিদেশি একটি এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করেন।
এর আগে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদী রাকিবের সাথে তামিমার বিয়ে হয়। তোবা হাসান নামে ৮ বছর বয়সী তাদের একটি মেয়েও আছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ