জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) নব নিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে নয়া শতাব্দীকে বলেছেন, ‘মুজিবর্ষ বলতে কোনো শব্দ নেই, এটা ভুল হয়েছে। কে বা কারা ভুল করেছে এটা জানি না। তবে বানানটি মুজিববর্ষ হতো।’
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে মুঠোফোনে তিনি নয়া শতাব্দীকে এ কথা জানান।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যঞ্জনচ্যুতির একটি নিয়ম ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে লেখা রয়েছে, ‘পাশাপাশি সমউচ্চারণের দুইটি ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে একটি বাদ দেয়া যায় উহাকে ব্যঞ্জনচ্যুতি বলে। সে হিসেবে মুজিবর্ষ সঠিক। এই বিষয়ে ড. সৌমিত্র শেখর দে নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘ব্যঞ্জনচ্যুতিতে এরকম কোনো নিয়ম নেই।’
এ বিষয়ে সরকারি বাঙলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হোমায়রা মোর্শেদা আক্তার নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘ব্যঞ্জনচ্যুতির নিয়ম নামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এছাড়া এটা জাতির পিতার নাম। এখানে এই ধরনের যুক্তি কোনেভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সরাসরি ভুল হয়েছে। এই ধরনের (ব্যঞ্জনচ্যুতির) বক্তব্য দায় এড়ানো চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। তবে এখানে যারা ভুল করেছেন তাদের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা।
ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চের ডায়াসে লেখায় বানানে ভুল হয়। সেখানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ লেখার বদলে লেখা হয়েছে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’। অর্থাৎ ‘মুজিববর্ষ’ বানান থেকে একটি ‘ব’ বাদ থেকে গেছে। এতে শব্দটি অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে। যদিও শপথপত্রে ‘মুজিববর্ষ’ বানান সঠিকভাবে লেখা হয়েছে।
এই ভুল বানান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল। এতবড় আয়োজনে এমন দৃষ্টিকটূ ভুল সহজভাবে নেওয়ার নয় বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ