আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির উৎসবের দিন, আনন্দের দিন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। ডিসপ্লে, কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভাসহ নানা রকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে স্থনীয় বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া-মোনাজাত করে এসব কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ময়মনসিংহ
বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ময়মনসিংহে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে।
বিভাগীয় শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর প্রথমে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ময়মনসিংহ সিটির মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
পরে একে একে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক, জেলার পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
নেত্রকোণা
ভোরে নেত্রকোণায় ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মার্চপাষ্ট, শরীরচর্চা, ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ অন্য আরও আয়োজন।
সকালে শহরের সাতপাই ও জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণের শহীদ বেদিতে ডিসি কাজি মো. আব্দুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, স্থানীয়বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থা ও সাধারণ জনতা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
টাঙ্গাইল
তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়াসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
ফরিদপুর
মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে ফরিদপুরে। এ উপলক্ষে সকালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নামফলকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়।
তার আগে শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
ফরিদপুরের ডিসি অতুল সরকার, পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা, পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
কুমিল্লা
শ্রদ্ধা আর বিনম্র ভালবাসায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে কুমিল্লায়।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লার ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ, স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদদের নামফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চুয়াডাঙ্গার ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হোসেন মেহেদীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, ডিসি সাহিত্য মঞ্চে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া করার পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দিনাজপুর
দিনাজপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। ভোরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু কর্মসূচি।
ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুরের ডিসির কার্যালয় চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেন ডিসি খালেদ মোহাম্মদ জাকী ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। পরে অন্যান্য সংগঠন ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল ৯টায় গোর-এ শহীদ ময়দানে সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন ডিসি ও পুলিশ সুপার।
এছাড়া দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ