মহান বিজয় দিবস আজ। একই সঙ্গে বিজয়ের ৫০ বছরও পূর্ণ হলো। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দিনের নতুন প্রভাতে তাই গোটা জাতি আজ উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছে।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শুরু হয়েছে।
এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শন করা হচ্ছে অনুষ্ঠানে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এ কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
এর আগে সূর্যোদয়ের সময় ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ছে। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে ভবনগুলো। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বিজয় দিবসের ঊষালগ্নে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ