বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে টেলিফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ড. মোমেনকে টেলিফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে বুধবার সকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ঢাকাকে জানানো হয়, ‘এন্থনি ব্লিনকেন আলাপ করতে চান’। এরপর সন্ধ্যায় দুই মন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপ হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে’।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সুসম্পর্ক এবং আগামী বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির বিষয়ে দুজনই একমত পোষণ করেন।’
নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে একাধিক বৈঠক হয়ে থাকে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ফোরাম হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পার্টনারশিপ ডায়ালগ। পার্টনারশিপ ডায়ালগ ছাড়াও বিভিন্ন বৈঠকে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। তারা যেসব বিষয়ে জানতে চায় সেটির উত্তর দেওয়া হয়’। এরপরও এ ধরনের এককভাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে বৈঠকগুলো হয়নি। শিগগিরই বৈঠকগুলো হবে বলে দুপক্ষ একমত।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র র্যাব ও এর সাত জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরের দিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ