বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানে গণধোলাই ও জুতাপেটা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ চলাকালে এ কথা বলেন আল নাহিয়ান খান জয়।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকাদার, রাকিব হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ থেকে ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের হামলায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রলীগ কর্মী শহীদ আরিফ রায়হান দ্বীপ, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী হত্যার রায় দ্রুত ঘোষণার দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ছাত্রলীগ আছে বলেই জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারছে না। শান্তিতে দেশের জনগণ ঘুমাতে পারছেন।
এ সময় তিনি বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আলালরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিল? এই আলাল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেভাবে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আবরার হত্যার পর সর্বপ্রথম ছাত্রলীগই ঢাকা শহরে শোক মিছিল বের করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত নির্দেশনার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত হয়েছে।
একই দেশে দুটি আইন কেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ রায়হান দ্বীপকে শিবিরের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। সে মামলার রায়ের কী অবস্থা? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী হত্যার রায়ের কী অবস্থা? কেন একই দেশে একটি ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি আইন, আরেকটি ছাত্র সংগঠনের জন্য আরেকটি আইন হবে?
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ