ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আবরার হত্যা: ২০ ছাত্রকে ক্ষমা করা হবে মহৎ কাজ’

প্রকাশনার সময়: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:২১ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২, ১৫:১৬

আবরার হত্যা মামলার আসামি ২০ বুয়েট শিক্ষার্থীকে ক্ষমা করে দেয়া হবে মহৎ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান মোল্লা। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আবরার হত্যার রায় ঘোষণার পরে ফেসবুক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি ফেসবুকে লিখেন, ‘বুয়েটের ছাত্র আবরারের পরিবার সম্পর্কে আমি জানি না। তারা কতোটা মহৎ তাও জানা নাই। আবরারের পরিরার ফাঁসির আদেশকৃত ২০ জন বুয়েটের ছাত্রকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমা করে দিলে এটা হবে সবচেয়ে মহৎ কাজ।’

এ ব্যাপারে ফোন দেয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘আবরার হত্যাকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করি না। সেই সাথে বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসি দেয়াটাকেও আমি সমর্থন করতে পারছি না। আবরারের মায়ের এখন যেমন কষ্ট হচ্ছে এই ২০ শিক্ষার্থীর ফাঁসির রায়েও তাদের মায়ের তেমন কষ্ট হচ্ছে। এখানে ২০জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসি দেয়া মানে ২০টি পরিবারকে ফাঁসি দেয়া। মায়েই শুধু মায়ের কষ্টটা বুঝে। তাই আমি প্রত্যাশা করব এই ২০ শিক্ষার্থীকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমা করে দেয়ার এবং এটি হবে মহৎ কাজ। পৃথীবিতে এমন অনেক উদাহরণ আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আসলে মানবিক কারণে চাচ্ছি তাদের ক্ষমা করে দেয়া হোক। ক্ষমা মহৎ ক্ষুণ। আর মানুষ মহৎ প্রাণী।

আবরার বাংলাদেশের অনেক বড় একজন আবিষ্কারক হতে পারত। আবরারের অনেক ইনোভেষণ পাওয়ার থাকতে পারে। তেমনই এই ২০টা ছেলে এদের মধ্যে অনেক ক্রিয়েটিভি থাকতে পারে। এছাড়া আবরারকে যে ইন্টেনশোনালি মারছে এটা আমার কাছে মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় এটা এক্সিডেন্টালি হয়েছে। তাছাড়া, আবরারকে মারবে কেনো। মারার তো কোনো কারণ নাই। একটা ফেসবুক স্টেটাস দিয়েছে। এটা ভারতের সাথে মিমাংশিত ইস্যু, ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক চলতেছে। এই অবস্থায় আবরারকে মারার কোনো কারণ নাই। এটা হয়ে গেছে হয়তো ওরা বুঝতে পারে নাই। তবুও যদি মেরে থাকে তারেপরেওতো আমরা মানুষ। মানুষ ভুল করতেই পারে।’

এর আগে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন।

আজ রায় ঘোষণার সময় ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এসএম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে শেষে তিনজন পলাতক রয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, অমিত সাহা, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ