ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডা. মুরাদ কী আত্মগোপনে?

প্রকাশনার সময়: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৫০

প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নানান সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও সবশেষ চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পদ হারিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ।

এদিকে, মন্ত্রিত্ব হারানো ডা. মুরাদ হাসানের দেখা মিলেনি গত দুইদিনে। তিনি এখন কোথায় আছেন তাও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে নারীদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এর বাইরে তিনি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের পদত্যাগপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন। ইতিমধ্যেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

জানা গেছে, ব্যাপক সমালোচনার মুখে সোমবারই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যান মুরাদ। সেখানে এক বন্ধুর বাসায় উঠার কথা থাকলেও তিনি উঠেন হোটেল রেডিসনে। হোটেলে থাকা অবস্থায় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার নির্দেশ পান তিনি। পরে রাতে হোটেল ছেড়ে এক বন্ধুর বাসায় কিছু সময় কাটিয়ে তিনি বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা জানা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ডা. মুরাদ আত্মগোপনে চলে গেছেন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ডা. মুরাদ প্রকাশ্যে আসেননি। তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। তবে তিনি দলীয় এই পদও হারাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করেছে।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ