বিতর্কিত মন্তব্য এবং চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তাকে নিয়ে কথা বলছেন মন্ত্রী-এমপিরাও।
ডা. মুরাদের পদত্যাগ নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, গত তিন মাস ধরেই প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখছিলেন তিনি।
এসময় তথ্যমন্ত্রী জানান, দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই মুরাদ হাসান সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য দিয়েছেন। দল বা সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কিছুই প্রধানমন্ত্রী সহ্য করেন না।
নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ও এক অভিনেত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মঙ্গলবার ই-মেইলে পত্র পাঠিয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান।
ডা. মুরাদ হাসান সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সমালোচনায় ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এর আগে তিনি রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে বক্তব্য দিয়েও আলোচনায় আসেন।
এর মধ্যেই গত সোমবার অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে তাকে নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে শোনা যায়।
এদিন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুরাদের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করার কথা জানান। এরপর রাতে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ