রাজধানী ঢাকায় শনিবার (৪ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। দেশ-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর তিনটি ভেন্যুতে এ সম্মেলন হবে। এতে সরাসরি ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগ দেবেন অর্ধশতাধিক বিদেশি অতিথি।
শনিবার বিকেল ৩টায় ’অ্যাডভান্সিং পিস থ্রু সোশ্যাল ইনক্লুশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রোববার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, সোনারগাঁও হোটেল ও ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হবে শান্তি সম্মেলনের বিভিন্ন আয়োজন। এর মধ্যে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। প্যানেল আলোচনা হবে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে।
বিকেলে সম্মেলনের উদ্বোধন হলেও সকাল ৯টা থেকে সম্মেলনের প্যানেল আলোচনা পর্ব চলবে।
সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা বরেণ্য ব্যক্তি ছাড়াও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে চারটি প্যানেলে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হবে।’
বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনের আলোকে শান্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে, জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা শীর্ষক সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হবে।’
উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিমান কয়েকজন অতিথি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, মিশরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা, পূর্ব-তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নোবেলজয়ী হোসে রামোস হোর্তা ও মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার।
অপরদিকে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টং ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা যুক্ত হবেন সমাপনী অনুষ্ঠানে। সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার সোনারগাঁও হোটেলে ডিনার ও সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং শেষ দিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পিঠা উৎসব হবে।
শান্তি সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর নিবেদিত ভূমিকা এবং তার দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধান ও শান্তিকামী পররাষ্ট্রনীতিকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত করার ক্ষেত্রে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি বিশ্বসভায় শান্তিকামী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজনের অনুমোদন দেন। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সভাপতি ও সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে ৪৬ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ