ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নয় দফা দাবিতে আজও সড়কে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশনার সময়: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৫

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের ওপর অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এসময় যাত্রীদের নামিয়ে এ রুটে চলাচলকারী বাসগুলো আটকে রাখতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের নয়টি দাবির মধ্যে এখনো প্রায় আটটি দাবিই মানা হয়নি। এ কারণে আজও তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে রামপুরা সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নেয় আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। গতকালই ঘোষণা ছিল, বুধবার বেলা ১১টা থেকে একই দাবিতে আন্দোলনে নামবে তারা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজও রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত সড়ক নিরাপদ না হবে, ততক্ষণ এ আন্দোলন চলবে বলে অবরোধকারীরা জানিয়েছে।

এদিকে, নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরাও রামপুরায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। আগে থেকে ঘোষণা ছিল তারা আজকেও নামবে। তবে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশের যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে।

সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া একরামুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন দুর্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পিরিয়াল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল ও রাজধানী আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রগতি সরণিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

শিক্ষার্থীদের একাংশ রামপুরা ব্রিজ এলাকায়ও অবস্থান নেয়। গতকালের মতো আজও রাস্তায় নেমেছে তারা। এতে সড়কের দুপাশে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী যানবাহন ছেড়ে দিতে দেখা গেছে।

গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন। এ ঘটনার পর আশপাশের উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে বাসটির চালককে ধরে পিটুনি দেন এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।

ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারানোর পর পুলিশ বাসচালক সোহেল রানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই রাতেই রামপুরায় অন্তত ১২টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ