রাজধানীতে নিরাপদ সড়ক ও বাসচাপা দিয়ে শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। গেল এক সপ্তাহে রাজধানীতে গাড়ি চাপায় দুই শিক্ষার্থী ও একজন সংবাদকর্মী নিহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এ আন্দোলন করে।
রামপুরা এলাকায় গতকাল সোমবার রাতে মইন নামে এক ছাত্র বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। মইন রাজধানীর একরামুন্নেসা স্কুল থেকে এসএসসি দিচ্ছিল। নিহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা সড়ক অবরোধ করলে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
এদিকে নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম ও সর্বশেষ মইন নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা পথে নেমেছে। তারা নিজেদের উপস্থাপিত দাবির পক্ষে আরো জোড়ালো অবস্থান নিয়েছে।
রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের সামনে শীক্ষার্থীরা চেকপোস্ট বসিয়ে সমস্ত যানবাহনকে আটকে দিয়ে গাড়ির কাগজপত্র নীরিক্ষা করছে। দলের একটি অংশ যানজট প্রতিরোধে জমে থাকা গাড়ির কাগজ দেখে মার্কারি কলম দিয়ে একটি চিহ্ন দিয়ে দিচ্ছে, যেন চেকপোস্টে সহজেই সেটা ছাড়া পেয়ে যায়।
এর প্রভাব পড়ছে ডেমরা, আফতাব নগর এলাকা থেকে আসা যানবাহনের ওপর। বনশ্রী এলাকায় দেখা যায় দীর্ঘ যানবাহন।
হাফ পাস মেনে নেওয়ার পরেও রাস্তায় কেন? শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করতে চাইলে একটি দল জানায় তারা তাদের সহপাঠী হত্যার বিচার চায়, নিরাপদ সড়ক চায়, সড়কে নিরাপত্তা চায়। সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা কলেজ, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজসহ আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসচাপায় মাঈন উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রামপুরা ব্রিজ এলাকায় সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রামপুরা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ