ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তৃতীয় ধাপে ভোট: চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশনার সময়: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ০৩:২৪
সংগৃহীত ছবি

আধিপত্য বিস্তার ও কেন্দ্র দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৯ জনের প্রাণহানির ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেশব্যাপী চলমান দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই ধাপে ৩৩টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিস্তারিত নয়া শতাব্দী প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে_

রাজশাহী

রাজশাহীর ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ১০টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

রোববার জেলার পবা উপজেলার ৭টি এবং মোহনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। সকাল ৮টায় এই দুই উপজেলার ১২৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস।

পবা উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৪টিতে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এরা হলেন- হুজুরীপাড়ায় গোলাম মোস্তফা, দামকুড়ায় রফিকুল ইসলাম ও বড়গাছীতে শাহাদত হোসাইন সাগর। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হরিপুরে জয়লাভ করেছেন বজলে রেজবি আল হাসান মুঞ্জিল।

এছাড়া দর্শনপাড়ায় শাহাদত হোসেন সাব্বির (আনারস), পারিলায় সাঈদ আলী মোরশেদ (ঘোড়া) এবং হড়গ্রাম ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (অটোরিকশা) বিজয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে সাব্বির ও মোরশেদ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। আর আবুল কালাম আজাদ জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।

এদিকে, মোহনপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সবকটিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এরা হলেন- মৌগাছি ইউনিয়নে আল আমিন বিশ্বাস, ধুরইলে দেলোয়ার হোসেন, রায়ঘাটিতে বাবুল হোসেন, ঘাষিগ্রামে আজহারুল ইসলাম, বাকশিমইলে আব্দুল মান্নান ও জাহানাবাদ ইউনিয়নে হযরত আলী বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন।

জয়পুরহাট

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৫ ইউনিয়নে ৪ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে আরেক ইউনিয়ের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে পাঁচ ইউনিয়নের সবকটিতে আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে এবং তারা সকলেই বর্তমান চেয়ারম্যান।

রোববার রাতে কালাই উপজেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন, কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে শওকত হাবিব তালুকদার (নৌকা), আহম্মেদাবাদে আলী আকবর মন্ডল (নৌকা), উদয়পুরে মো, ওয়াজেদ আলী (নৌকা) ও জিন্দারপুর ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান (নৌকা)। পুনট ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল কুদ্দুস ফকিরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে জাগীর ও গড়পাড়া ইউনিয়ন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন ও আফসার উদ্দিন সরকার। অন্য ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদ হোসেন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- দিঘী ইউনিয়নে আখতার উদ্দিন আহমেদ রাজা (মোটরসাইকেল), নবগ্রামে গাজী হাসান আল মেহেদী সুহাস (নৌকা), পুটাইলে মহিদুর রহমান মহিদ (নৌকা), ভাড়ারিয়ায় আব্দুল জলিল (নৌকা), হাটিপাড়ায় গোলাম মনির হোসেন (নৌকা), কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বিপ্লব হোসেন সেলিম (নৌকা), আটিগ্রামে নূর-এ-আলম সরকার (নৌকা) ও বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নে আসমত আলী (আনারস)।

কুষ্টিয়া

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মাত্র ৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। বাকি ১০টিতে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন- উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নে আশরাফুল উজ জামান মুকুল সরকার (নৌকা), আদাবাড়ীয়ায় আব্দুল বাকি (আনারস), হোগলবাড়ীয়ায় সেলিম চৌধুরী (নৌকা), চিলমারীতে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান (মোটরসাইকেল), রিফায়েতপুরে আব্দুর রশিদ বাবলু (মোটরসাইকেল), খলিশাকুন্ডিতে জুলমত হোসেন (স্বতন্ত্র), পিয়ারপুরে সোহেল রানা বুলবুল (চশমা), ফিলিপনগরে নঈম উদ্দিন সেন্টু (চশমা), রামকৃষ্ণপুরে সিরাজ মন্ডল (নৌকা), মরিচায় জাহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে মহিউদ্দিন বিশ্বাস (নৌকা), বোয়ালিয়ায় খোয়াজ হোসেন (চশমা), আড়িয়ায় হেলাল উদ্দিন (স্বতন্ত্র) এবং মথুরাপুর ইউনিয়নে আনারুল কবির মিন্টু (আনারস)।

রোববার রাতে নির্বাচন কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১টিতে নৌকা বিজয়ী হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নে মো. রেজাউল হাসনাত দুদু নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে শাজাহান হাওলাদার মিয়া, আলগীতে ম. ম সিদ্দিক, কালামৃধায় রেজাউল মাতুব্বর, ঘারুয়ায় মুনসুর মুন্সি, চান্দ্রায় খালেক মোল্লা, চুমুরদিতে রফিকুল ইসলাম সোহাগ, তুজারপুরে ওলিউর রহমান, নাসিরাবাদে আলমগীর খান, নুরুল্লাগঞ্জে সৈয়দ শাহাবুর, মানিকদহে শহিদুল্লাহ বাচ্চু ও হামিরদি ইউনিয়নে খোকন মোল্লা।

এছাড়াও চরভদ্রাসন উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে চরভদ্রাসন সদরে আজাদ খান (স্বতন্ত্র), চরহরিরামপুর ইউপিতে জাহাঙ্গীর কবির ( স্বতন্ত্র-বিএনপি), গাজিরটেক ইউনিয়নে মো. ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র-বিএনপি) বিজয়ী হয়েছেন।

সাতক্ষীরা

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে সাফিয়া পারভীন (জাপা), দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল (আ.লীগ), বিষ্ণুপুরে বিএনপির স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম, তারালি ইউনিয়নে এনামুল ইসলাম ছোট (আ.লীগ), মথুরেশপুরে আবদুল হাকিম (আ.লীগের বিদ্রোহী), চাম্পাফুল ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক গাইন (আ.লীগ), ভাড়াশিমলায় নাজমুল হাসান (আ.লীগের বিদ্রোহী), ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে গাজী শওকত হোসেন (আ.লীগ বিদ্রোহী), কুশলিয়া ইউনিয়নে আবুল কাসেম মো. সুমন (আ.লীগ), মৌতলায় মো. ফেরদৌস মোড়ল (স্বতন্ত্র), রতনপুর ইউনিয়নে আলিম আল রাজী (আ.লীগ) ও নলতায় আজিজুর রহমান (বিএনপি স্বতন্ত্র)।

অপরদিকে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচিতরা হলেন কুলিয়া ইউনিয়নে মোঃ আসাদুল হক (আ.লীগ বিদ্রোহী), পারুলিয়া ইউনিয়নে গোলাম ফারুক বাবু (বিএনপি স্বতন্ত্র), দেবহাটা সদরে মোঃ আব্দুল মতিন (বিএনপি স্বতন্ত্র), সখিপুর ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম (আ.লীগের বিদ্রোহী), নওয়াপাড়ায় আলমগীর হোসেন সাহেব আলী (আ.লীগ)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর ও সরাইল উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ৩১৮টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সরাইলের ৯টি, নবীনগরে ১৩টি এবং বাঞ্ছারামপুরে ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। বাঞ্ছারামপুরের একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানসহ সব পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর ফলে রোববার এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কেবল ৩টি ইউনিয়ন এবং চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি দুই পদে ৭টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নবীনগরে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। আর বাঞ্ছারামপুরের তিন ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হোসেন ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজগর আলী এ ফলাফল নিশ্চিত করেছেন। তবে সরাইল উপজেলার ইউনিয়নগুলোর ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি।

ফলাফল অনুযায়ী বাঞ্ছারমপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রহিম ৪৩০১ ভোট পেয়ে বেসরকরিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আহাম্মদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯২ ভোট। তেজখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল হক ১১৩৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী ফাইজুর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৭২৯ ভোট। আর ফরদাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাশিদুল ইসলাম ৯৮৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৫ ভোট।

নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ৫২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯৭৪ ভোট। নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন চশমা প্রতীকে ৩২১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ১৮৭৯ ভোট।

নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর আলম আনারস প্রতীকে ৫০৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আলম পেয়েছেন ৪০৫৯ ভোট। রছুল্লাবাদ ইউনিয়নে খন্দকার মনির হোসেন স্বতন্ত্র পদে লড়ে আনারস প্রতীকে ৫৮৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আকবর পেয়েছেন ৩৩৯৩ ভোট। শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে ৩৩১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী জাকি উদ্দিন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দুজ্জামান পেয়েছেন ২২৮০ ভোট।

জিনোদপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ৫১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৪২৭৮ ভোট। লাউরফতেহপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৩৯৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান সওদাগর পেয়েছেন ২৩৫৫ ভোট।

সাতমোড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ ৩৯৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮১৬ ভোট। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রর্থী আবু মুছা ৪৩২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নোমান চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২৫৫০ ভোট।

সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশিকুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মাইনুল হক পেয়েছেন ৩৬০৬ ভোট। রতনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আনারস প্রতীকে ৬৭২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ জাহিদ হোসেন পেয়েছেন ৬৩৭৮ ভোট।

শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শামছুজ্জামান খান ৬১৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান সিরাজ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫৩৩ ভোট।

পাবনা

পাবনার ৩ উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৯ জন ও ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার রাতে তিন উপজেলার নির্বাচন অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজয়ীরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এমলাক হোসেন বাবু (স্বতন্ত্র), লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে আনিস উর রহমান শরীফ (নৌকা), সাঁড়া ইউনিয়নে এমদাদুল হক রানা সরদার (নৌকা), সলিমপুরে আমজাদ হোসেন বাবলু মালিথা (স্বতন্ত্র), পাকশী ইউনিয়নে সাইফুজ্জামান পিন্টু (নৌকা), দাশুড়িয়া ইউনিয়নে বকুল সরদার (নৌকা) ও মুলাডুলি ইউনিয়নে আব্দুল খালেক মালিথা (নৌকা)।

সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নে মীর মন্জুর এলাহী (নৌকা), ক্ষেতুপাড়ায় মনসুর আলম পিন্চু (নৌকা), গৌরিগ্রামে আব্দুল ওহাব মাস্টার (নৌকা), নন্দনপুরে রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লা (নৌকা), ধোপাদহে সাইদুজ্জামান বাবুল (নৌকা), আর-আতাইকুলায় মিরাজুল ইসলাম (নৌকা) নাগডেমড়া মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ (স্বতন্ত্র) ও ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে এনামুল কবির মাসুদ (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নে মো. রবিউল করিম এম এ (নৌকা), নিমাইচড়ায় মোছা. নুরজাহান বেগম মুক্তি (নৌকা), মথুরাপুরে মো. শাহ আলম (নৌকা), ছাইকোলায় নুরুজ্জামান নুরু (নৌকা), মুলগ্রামে রাশেদুল ইসলাম বকুল (নৌকা), হরিপুরে মকবুল হোসেন (নৌকা), পার্শ্বডাঙ্গায় আলহাজ মো. আজাহার আলী (নৌকা), গুনাইগাছায় মো. রজব আলী বাবলু (স্বতন্ত্র), ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে মো. শামীম হোসাইন (স্বতন্ত্র), বিলচলে মো. আক্তার হোসেন (স্বতন্ত্র), ও ফৈলজানা ইউনিয়নে মো. হাফিজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নওগাঁ

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁ জেলার দুই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আটজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৪ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ ও বদলগাছী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. সেজারুদ্দিন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১১ জন বিজয়ী হয়েছেন।

নৌকা প্রতীকে বিজয়ীরা হলেন- ভারশোঁ ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, পরানপুর ইউনিয়নে মাহফুজুর রহমান উজ্জল এবং কসব ইউনিয়নে ফজলুর রহমান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ীরা হলেন- প্রসাদপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন, বিষ্ণপুর ইউনিয়নে এসএম গোলাম আজম, গণেশপুর ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে আব্দুস সালাম, ভালাইন ইউনিয়নে গোলাম মোস্তফা মন্ডল, নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নে ইয়াছিন আলী প্রামাণিক, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে এসএম মখলেছুর রহমান কামরুল, কুসুম্বা ইউনিয়নে নওফেল আলী, কালিকাপুর ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম বাবু, মৈনম ইউনিয়নে আনিসুর রহমান এবং মান্দা ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন তোফা।

অপরদিকে বদলগাছী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে পাঁচজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নৌকা প্রতীকে বিজয়ীরা হলেন- বদলগাছী সদর ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন, কোলা ইউনিয়নে শাহীনুর ইসলাম স্বপন, পাহাড়পুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান কিশোর, মিঠাপুর ইউনিয়নে ফিরোজ হোসেন এবং মথুরাপুর ইউনিয়নে মাসুদ রানা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ীরা হলেন- বালুভরা ইউনিয়নে আল এমরান হোসেন, বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে সাইদুর রহমান কেটু এবং আধাইপুর একেএম রেজাউল কবীর পল্টন।

খুলনা

তৃতীয় ধাপে খুলনার তেরখাদা ও রূপসা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে খুলনার রূপসা ও তেরখাদা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

তেরখাদা ও রূপসা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা সদরে আওয়ামী লীগের এফ এম অহিদুজ্জামান (নৌকা), মধুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখ মো. মোহসিন (নৌকা), ছাগলাদাহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম দ্বীন ইসলাম (আনারস), বারাসাত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কে এম আলমগীর হোসেন (নৌকা), আজগড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কৃষ্ণ মেনন রায় (নৌকা) ও সাচিয়াদাহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বুলবুল আহমেদ (নৌকা) এবং রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।

তেরখাদার ২ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান ও মো. শফিকুল ইসলাম এবং রূপসার রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ আবদুর রব রোববার রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে রাইপুর ইউনিয়নে গোলাম সাকলায়েন ছেপু (নৌকা), ষোলটাকা ইউনিয়নে আনোয়ার পাশা (আ.লীগের বিদ্রোহী) ও কাজিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. আলম হুসাইন বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ধানখোলা ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।

রাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম সাকলায়েন ছেপু ১ হাজার ১১৪ ভোটে জয়ী হয়েছে। নৌকা প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ২৫৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রব (আনারস) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ ভোট।

ষোলটাকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা (আনারস) ১৯৯ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩০ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলবার হোসেন (নৌকা) ৪ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়েছেন।

কাজিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. আলম হুসাইন ৪৫৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা আব্দুল আলিম (টেবিল ফ্যান) ৬ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম রেজা বিজয়ী হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইদ্রিস আলী (নৌকা) ১০ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছেন।

বুড়িপোতা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহজামান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক (ঘোড়া) ১১ হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে বালীয়াডাঙ্গী বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সাতটিতে নৌকা ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন৷ পাড়িয়ায় মো. ফজলে রাব্বী রুবেল (নৌকা), চাড়োলে শ্রী দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী বাবু (নৌকা), ধনতলায় শ্রী সমর কুমার চ্যাটার্জী নুপুর (নৌকা), বড় পলাশবাড়ীতে মো. শাহাবুদ্দীন মিয়া (নৌকা), দুওসুওয়ে প্রভাষক সোহেল রানা, ভানোরে মো. রফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), আমজানখোরে মো. আকালু ডোংগা (নৌকা) ও বড়বাড়ী ইউনিয়নে মো. আকরাম আলী (নৌকা) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

পীরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতে নৌকা ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন৷ ভোমরাদহে হিটলার হক (নৌকা), কোষারাণীগঞ্জে মো. মোস্তফা আলম (আনারস), খনগাঁওয়ে শহিদ হোসেন, (নৌকা), সৈয়দপুরে বিবেকান্দ নিমাই (নৌকা), পীরগঞ্জে মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরী (ঘোড়া), হাজীগঞ্জে মো. জয়নাল আবেদীন (নৌকা), দৌলতপুরে সনাতন (নৌকা), সেনগাঁওয়ে মো. সাইদুর রহমান (মোটরসাইকেল), জাবরহাটে মো. জিয়াউর রহমান (নৌকা) ও বৈরচুনা ইউনিয়নে টেলিনা সরকার হিমু (নৌকা) চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর

রংপুরের তিন উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের ভরাডুবি হয়েছে। এবার ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে বিদ্রোহী, চারটিতে নৌকা, একটিতে মশাল এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর সদর উপজেলার দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত দুই বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে মমিনপুর ইউনিয়নে মিনহাজুল ইসলাম (বিদ্রোহী) ও খলেয়া ইউনিয়নে মোত্তালেবুল হক (বিদ্রোহী) নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী ছিলেন।

তারাগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ ও জাসদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটির মধ্যে দুজন বিদ্রোহী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে আলমপুর ইউনিয়নে রবিউল ইসলাম রাসেল (বিদ্রোহী), ইকরচালী ইউপিতে ইদ্রিস আলী (বিদ্রোহী), কুর্শা ইউপিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজালুল হক (নৌকা), হাড়িয়ারকুটি ইউপিতে জাসদের কুমারেশ রায় (মশাল) এবং সয়ার ইউনিয়নে খান ইবাদত পাইলট (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

অন্যদিকে কাউনিয়া উপজেলায় ছয়টির মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং বাকিগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলার সারাই ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম (নৌকা), শহীদবাগ ইউপিতে আব্দুল হান্নান (নৌকা), বালাপাড়া ইউনিয়নে আনছার আলী (নৌকা), হারাগাছ ইউনিয়নে রাজু আহমেদ (বিদ্রোহী), কুর্শা ইউনিয়নে আব্দুল মজিদ (বিদ্রোহী) এবং টেপামধুপুর ইউনিয়নে রাশেদুল ইসলাম (বিদ্রোহী) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে ছয় ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রাজবাড়ী

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে নয়টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

কালুখালি উপজেলার রতনদিয়ায় নিলুফা পারভীন (নৌকা), মাঝবাড়িতে শরিফুল ইসলাম (নৌকা), মৃগীতে এম এ মতিন (নৌকা), সাওরাইলে শহীদুল ইসলাম (নৌকা), বোয়ালিয়ায় রফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মদাপুরে মিজানুর রহমান মজনু (স্বতন্ত্র) ও কালিকাপুর ইউনিয়নে আতিউর রহমান নবাব (নৌকা) চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলার সদরে আলম বিশ্বাস (স্বতন্ত্র), নবাবপুরে বাদশা আলমগীর (স্বতন্ত্র), ইসলামপুরে আহম্মেদ আলী (স্বতন্ত্র), নারুয়ায় জহিরুল ইসলাম (নৌকা), বহরপুরে রেজাউল ইসলাম (নৌকা), জঙ্গলে কল্লোল বসু (নৌকা) ও জামালপুর ইউনিয়নে ফরিদ হোসেন বাবু (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুরে নাসির উদ্দিন (নৌকা), নোয়াগাঁওতে মোহাম্মদ সোহেল পাটওয়ারী (নৌকা), ভাদুরে জাবেদ হোসেন (নৌকা), দরবেশপুরে মিজানুর রহমান (নৌকা), ইছাপুরে আমির হোসেন খান (আনারস), চন্ডিপুরে শামছুল ইসলাম সুমন (মোটরসাইকেল), লামচরে ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটওয়ারী (আনারস), করপাড়া জাহিদ মির্জা (ঘোড়া), ভোলাকোটে দেলোয়ার হোসেন দিলু (চশমা) ও ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শামছুল আলম বুলবুল (আনারস) বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

রায়পুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনটিতে বিনা ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে আগেই বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। উত্তর চর আবাবিলে জাফর উল্যাহ দুলাল হাওলাদার (স্বতন্ত্র), উত্তর চরবংশীতে আবুল হোসেন হাওলাদার (নৌকা-বিনা ভোট), চরমোহনায় শফিক পাঠান (নৌকা-বিনা ভোট), সোনাপুরে অ্যাডভোকেট ইউসুফ জালাল কিসমত (নৌকা), চরপাতায় সুলতান মামুনুর রশিদ (নৌকা), কেরোয়ায় শাহিনুর বেগম রেখা (নৌকা), বামনীতে তাফাজ্জল হোসেন (নৌকা), দক্ষিণ চরবংশীতে আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি (নৌকা), দক্ষিণ চর আবাবিলে হাওলাদার নূরে আলম জিকু (নৌকা) ও রায়পুর ইউনিয়নে শফিউল আজম সুমন চৌধুরী (নৌকা-বিনা ভোটে) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ৬ টি ইউনিয়নের ২ টিতে নৌকার প্রার্থী,২টিতে লাঙ্গলের প্রার্থী এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু ৩ হাজার ৯ শত ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আওয়ামী লীগের একেএম আহমেদুল কবির রাঙ্গা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭'শ ২৩ ভোট।

৫ নং মহদীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরুল কবীর চৌধুরী চপল আনারস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩'শ ৬৩ ভোট।

৬ নং বেতকাপা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির মোস্তফিজুর রহমান মোস্তা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৩ শত ৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান সৈকত মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭ ভোট।

৭ নং পবনাপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাহাবুবুর রহমান মন্ডল মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার ৪ শত ৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসাবে শাহিন খন্দকার পেয়েছেন ২ হাজার ৭ শত ১১ ভোট।

৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন (নৌকা) প্রতীকে ৬ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পার্টি মো. আব্দুল মাজেদ মিয়া (লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯ শত ৪৬ ভোট।

৯ নং হরিনাথপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মো. কবীর হোসাইন জাহাঙ্গীর ৩ হাজার ৬'শ ৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন মেজবাউর রহমান। তিই চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯'শ ৪৩।

নাটোর নাটোরের লালপুর এবং বাগাতিপাড়া দুটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নৌকা ৫টি, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৬টি এবং বিএনপি (স্বতন্ত্র) চারটিতে বিজয়ী হয়েছে।

বাগাতিপাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুটি নৌকা, দুটি বিএনপি এবং একটিতে আওয়ামীস লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

ফাগুয়ারদিয়ার ইউপিতে এসএম লেলিন (বিএনপি), বাগাতিপাড়া সদরে মজিবর রহমান (নৌকা), দয়ারামপুর মাহাবুব ইসলাম মিঠু (নৌকা), পাঁকা ইউপিতে নয়েজ মাহমুদ (বিদ্রোহী), জামনগর ইউপিত গোলাম রাব্বানী (বিএনপি)

লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে নৌকা, দুটিতে বিএনপি (স্বতন্ত্র) এবং ৫টি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

লালপুর ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশ (নৌকা), ঈশ্বরদী ইউপিতে আব্দুল আজিজ রঞ্জু (বিএনপি), চংধুপইলে রেজাউল করিম রেজা (নৌকা), আড়বাব ইউপিতে মখলেছুর রহমান (বিদ্রোহী), ওয়ালিয়া নূরে আলম সিদ্দিক (বিদ্রোহী),এবি ইউপিতে গোলাম মোস্তফা আসলাম (বিদ্রোহী), বিলমাড়িয়া ইউপিতে সিদ্দিক আলী মিষ্টু (বিএনপি), দুড়দড়িয়া তোফাজ্জল হোসেন (বিদ্রোহী), কদিমচিলান ইউপিতে আনসারুল ইসলাম (বিদ্রোহী) এবং দুয়ারিয়া ইউপিতে নুরুল ইসলাম লাভলু (নৌকা)।

এদিকে, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ‘সহিংসতাহীন নির্বাচনের মডেল’ হিসেবে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। রোববার রাতে ভোট শেষে নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ দাবি করেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ