আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচারক নিয়োগ আইন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন আইন- দুটোরই খসড়া করা হচ্ছে। সংসদের আগামী দুটি অধিবেশনের মধ্যেই এই আইন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সংসদের আগামী বা তার পরের অধিবেশনেই নির্বাচন কমিশন গঠনে বিল উত্থাপন করা হবে। তবে, এবারের নির্বাচন কমিশন এই আইনের অধীনে হবে না।’
আজ রোববার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল, ২০২১ এর ওপর বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বিলটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির হারুনুর রশিদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলেন। চুন্নু এই আইনটির পাশাপাশি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগেও আইন করার দাবি জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারক নিয়োগ আইন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন দুটি আইনেরই খসড়া করা হচ্ছে।’ সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের প্রতিনিধির সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইনের ড্রাফট করেছে এবং সেটা আমার কাছে হস্তান্তর করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুজনের পক্ষ থেকে তারা বলেছেন, এটাতে সবই আছে। এটা অধ্যাদেশ আকারে করে দিলেই তো হয়ে যায়। তখন আমি পরিষ্কার বলেছি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত আইনটি করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধ হয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি, বাড়িয়েছি।’তিনি বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা চলতি সংসদের পরের অধিবেশন বা তার পরের অধিবেশনে আমরা এটা আলাপ করবো। কিন্তু অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়া করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, বর্তমান কে এম নুরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ সাপেক্ষে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, পূর্ববর্তী ২ কমিশনের মতো আসন্ন নির্বাচন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ