ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আমারে মেরে ফেলুক, অসুবিধা নেই’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশনার সময়: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০৭:১৮ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০৭:২০
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে গতকাল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে মেয়র পদ হারানোর পর জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমারে মাইরা লাক (মেরে ফেলুক), অসুবিধা নেই। আমি আল্লাহ আর নেত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছি, তারা যা করেন।’

জনপ্রতিনিধিরা পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর অনেকেই উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সেই পদ ফিরে পান। সাময়িক বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আইনি লড়াই চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন জাহাঙ্গীর।

এর আগে গতকাল স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে এসেছে। সেগুলোকে আমলে নেয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে।

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে রাজবাড়ী ও মাদারীপুরে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগেএই মামলা করা হয়।

এর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে কটূক্তি করেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়েও নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি। জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

এ ঘটনায় গাজীপুরে মেয়রের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল বের হয়। রাজনীতির অঙ্গনে জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গাজীপুরের পরিস্থিতি শান্ত করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নেয়।

গত ৩ অক্টেবর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ। এতে সই করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে জবাব দিতে বলা হয়। শোকজের জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমা পাননি তিনি।

গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ