গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে।
এরপর দল থেকে জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবও দিয়েছেন মেয়র। এখন জনমনে প্রশ্ন- জাহাঙ্গীর কি দল থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন? নাকি স্বপদে বহাল থাকছেন? এসব জল্পনা কল্পনার অবসান হচ্ছে আজ।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির ৪৯ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সভাপতিমণ্ডলীর ১০ সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সবাই। বাকি সদস্যরা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য।
বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। একই সভায় চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়েও আলোচনা হবে।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়— ঘরোয়া আলোচনায় মেয়র তার ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে তার কথায় স্পর্শকাতর অনেক বিষয় ছিল। যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য উঠে আসে। এতে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে।
পরেরদিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে টানা কয়েকদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ। এতে নেতৃত্ব দেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মামুন মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
তবে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি এডিটেড ভিডিও করে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। ভিডিওটি ভিত্তিহীন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ