গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী ১৯ নভেম্বর।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মেয়র জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ হয় গাজীপুরে।
এরপর দল থেকে জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশের জবাবও দিয়েছেন মেয়র। এখন জনমনে প্রশ্ন- জাহাঙ্গীর কি দল থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন? নাকি স্বপদে বহাল থাকছেন? এসব জল্পনা কল্পনার অবসান হচ্ছে আগামী শুক্রবার (১৯ নভেম্বর)।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়— ঘরোয়া আলোচনায় মেয়র তার ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে তার কথায় স্পর্শকাতর অনেক বিষয় ছিল। যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য উঠে আসে। এতে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে।
পরেরদিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে টানা কয়েকদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ। এতে নেতৃত্ব দেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মামুন মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
তবে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি এডিটেড ভিডিও করে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। ভিডিওটি ভিত্তিহীন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ