১৯৯১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আর্ন্তজাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালন করা হবে। দিনটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ, গতিধারা, চিকিৎসা এবং রোগটি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সর্ম্পকে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়।’ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালন করবে।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮ অনুযায়ী, দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ ১ কোটি ১০ লাখ। ১৮-৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এ সংখ্যা ২৬ লাখ। আর ৩৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৪ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
তবে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য বলছে, বাংলাদেশে ৮৪ লাখের বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের প্রায় অর্ধেকই মহিলা। কিন্তু আক্রান্তদের অর্ধেকই জানেন না তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। এছাড়া দেশে শতকরা ২০ জন মহিলা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। যাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই পরবর্তীতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব মায়েদের গর্ভের শিশুর আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি।
ডায়াবেটিসের কারণে হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, কিডনি রোগ, চোখের রোগ, পঙ্গুত্ব ও মাড়ির রোগ হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মানুষের কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়া, জীবনযাত্রার ধরনের পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ