ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে পর্যটন এবং কৃষি খাতকে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার শেষ দিনে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ‘কোভিড-উত্তর নিউনর্মাল বাস্তবতা : পর্যটন বিকাশে নিরাপত্তা অগ্রাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল আরেফিন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোর্শেদুল খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ট্যুর অপারেটর এবং শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, তখন পশ্চিমা অর্থনীতিবিদেরা বলেছিলেন, এ দেশ টিকবে না। পশ্চিমা অর্থনীতিবিদদের এমন ধারণা ভুল প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সব সেক্টরে উন্নতি লাভ করেছে ।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতা রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভিশনারি লিডারশিপ। ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ যেন পর্যটকদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
আইজিপি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ আট বছর ধরে পর্যটকদের আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা প্রদান এবং পর্যটন খাতের বিকাশ সাধনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠনের পর থেকে পর্যটকেরা নিরাপদে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটভ্রমণ করতে পারছেন।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাবতেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও আত্মমর্যাদাশীল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ রেখে যেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর থেকে কক্সবাজারে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ