ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বনানীতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায় বৃহস্পতিবার

প্রকাশনার সময়: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৪০

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলায় রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করবেন।

একই আদালত গত ৩ অক্টোবর মামলাটি যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ অক্টোবর দিন ঠিক করেন। কিন্তু ১২ অক্টোবর বিচারক অসুস্থ থাকায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর ঠিক করা হয়। পরবর্তীতে ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আদালত না বসায় সেদিনও রায় পিছিয়ে ১১ নভেম্বর ঠিক করা হয়।

মামলার আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিব ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম এবং সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

৩ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিনে থাকা সব আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে মামলাটির ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। ২৯ আগস্ট আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয় যুক্তি উপস্থপন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটিতে ওই বছর ৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ভুক্তভোগী ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা তাদের আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে তার ভিডিওচিত্র ধারণ করান। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ