অবিলম্বে ডিজেল ও কেরোসিনের বাড়তি দাম প্রত্যাহার করা না হলে আইনের আশ্রয় নেবে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংস্থাটির অভিযোগ, আইন লঙ্ঘন করে একতরফা দাম বাড়িয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি।
এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, মুনাফা লুটের সুযোগ করে দিতেই পরিবহন মালিকদের কথায় ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনে বাড়তি দাম চাপিয়ে দেয়ার ফলে নানামুখী সংকটে পড়েছেন ভোক্তারা। গণপরিবহন থেকে শুরু করে কৃষির খরচ, সবক্ষেত্রেই ব্যয় বাড়ল।
আইনানুযায়ী, জ্বালানির দাম বাড়ানোর আগে গণশুনানিতে ভোক্তাদের মতামত নেয়া বাধ্যতামূলক। অথচ বারবার আইন লঙ্ঘন করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। তাই শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব।
ক্যাব-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এখন আমাদের একমাত্র পথ হলো আইনের আশ্রয় নেয়া। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে আমাদের দৃষ্টিতে ব্যবসায়িক বিবেচনায় একটা আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু এক্ষেত্রে যা প্রয়োজন ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তিনি জানান, বিপিসি রাজস্ব চাহিদার অতিরিক্ত ৪৩,৭৩৪.৭৮ কোটি টাকা ভোক্তাদের কাছ হতে অবৈধভাবে আদায় করেছে। জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ভর্তুকি প্রদানের লক্ষ্যে এ অর্থ দিতে এনএফসি প্রাইজিং স্ট্যাবিলাইজড ফান্ড গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ