আগামীকাল সোমবার থেকে বাস ভাড়া বেশি দিতে হবে। ডিজেলে-কেরোসিনের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ধর্মঘটের মুখে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে সরকার। এ নিয়ে জনমহলে প্রশ্ন উঠেছে সরকার বাড়ালো তেল-গ্যাসের দাম, পরিবহন মালিকরা বাড়ালো বাস ভাড়া তবে ক্ষতিটা হলো কার?
সোমবার থেকে দূরপাল্লার বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সার পরিবর্তে এখন ১ টাকা ৮০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আর মহানগরে ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে এখন ২ টাকা ১৫ পয়সা বেশি ভাড়া দিতে হবে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। আব্দুর রহিম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সরকার ও পরিবহন মালিকদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে গেলাম’।
শিহাব খান নামে একজন লিখেছেন, ‘বাড়ছে বাস ভাড়া, বাড়ছে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম, কিন্তু কমেছে মানুষের দাম। গত এক সপ্তাহে শ্রীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০জন নিহত।’
শামীম আহসান লিখেছেন, ‘দাম বেড়েছে ডিজেল-কেরোসিনের। পরিবহন মালিকদের নাটকীয় ধর্মঘটে বাড়ল বাসা ভাড়া। সাধারণ মানুষ কী এখন থেকে তাদের কাছে জিম্মি?’
সুমন রায় নামে একজন লিখেছেন, ‘দেশে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি কিন্তু আমাদের বেতনতো বাড়লো না, আমরা চলবো কী করে?’
ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাস ভাড়ার সিদ্ধান্ত আসার পর থেকেই ফেসবুকে এমন অসংখ্য পোষ্ট চোখে পড়ছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহণে বাসের ভাড়া প্রতি কিলেমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। আর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ টাকা ৪২ পয়সা।
উল্লেখ্য ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট শুরু করে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। এই পরিবহণ ধর্মঘটে সারা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। তিন দিন ধরে পরিবহণে ধর্মঘটে জিম্মি রয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিকার হচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগের।
তিন দিন পরে সরকারের সঙ্গে আজ (রোববার) বৈঠকে এ বিষয়ে সমাধান এলো। পরিবহণ মালিক সমিতি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ