জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রেনে চাপ বেড়েছে, কিন্তু টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।
শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে কয়েক হাজার যাত্রীকে অপেক্ষমান দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট মিলছে না।
স্টেশনে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বলেন, বাস বন্ধ থাকায় সব মানুষ ট্রেনে করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে টিকিটের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকেই অপেক্ষার পর ফিরে গেছে।
এদিকে, পরিবহন ধর্মঘট পরিস্থিতিতে দেশের সকল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কমলাপুরের কাউন্টারগুলোতে কোনো টিকিট দেয়া হয়নি। মাইকে ঘোষণা দিয়ে বারবার জানানো হয় আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো টিকিট নেই। তবে লোকাল ও কমিউটার ট্রেনগুলোই যাত্রী সাধারনের শেষ ভরসা। এসব ট্রেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁদুরঝোলা হয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
উল্লেখ্য, সরকার গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। এ সুযোগে অটোরিকশা, পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলোয় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ