দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ থেকে আগামী শুক্রবার একযোগে পালিত হবে ২৫তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে ১ ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল ৫০০ মিগ্রা) ভরাপেটে সেবন করানো হবে।
এ সাত দিনে চার কোটি শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে চিকিৎসক কার্যক্রমের পরিচালক ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বলেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের ওষুধটি আমরা ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবহার করছি। অনুদান হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এ ওষুধ আমরা প্রতি বছরই পেয়ে থাকি। এ ওষুধ আমাদের দেশে পরীক্ষিত। এ ওষুধে এখনো কোনো শিশুর সমস্যা হয়নি। আর হবে না বলেই আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, কৃমির ওষুধে এমনিতেও সাইড ইফেক্ট নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাঠানো এ ওষুধের কারণে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটি বড় আকার ধারণ করে। এর কারণ গণমানসিক বিষয়। একটা বাচ্চার বমি হলে অন্যরাও বমি করতে শুরু করে। আশা করি, প্রতিবারের মতো এবারও কোনো সমস্যা হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন বলেন, এ কার্যক্রমটি এক সপ্তাহের জন্য। একই দিনে সব শিশুকে ওষুধ খাওয়ানো হবে না। তাই আমরা বলেছি সবাইকে একসঙ্গে স্কুলগুলোতে না যেতে। যেহেতু সপ্তাহব্যাপী কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে, তাই সবাই একত্রে যাওয়ার দরকার নেই। স্কুলগুলোতে এভাবেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সি শিশুদের জন্য কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ