ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘মানুষ ভাত বেশি খায়, এটা কখনই বলিনি’

প্রকাশনার সময়: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭:১৪ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২১

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার জন্ম নেয়। ‘মানুষ ভাত বেশি খায় এ জন্য চালের দাম বেড়ে গেছে’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও খবর প্রকাশ হয়। তবে তার দাবি গণমাধ্যমে এ ধরনের কোনো কথাই বলেননি তিনি।

এ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেখানে কৃষিমন্ত্রী দাবি করেন, ভাত কম খেতে বলেননি তিনি।

আজ শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির এক সেমিনারে তিনি বলেন, আমি এ প্রসঙ্গই আনিনি। তিনি পুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

একই প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের জাত এবং চাষাবাদ কী হওয়া উচিত, যেগুলোর ওপরেও আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা একটি বিষয় ছিলো। আমরা চাল জাতীয় খাবারে অনেকটা আত্মনির্ভারশীল। যদি ভালো আবহাওয়া থাকে, আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত থাকি। কিন্তু এখন আমাদের লক্ষ্য হলো পুষ্টি জাতীয় খাবার। এটি আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি, আমরা পুষ্টি জাতীয় খাবার এবং সি ফুড মানুষকে দেব। এটাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ। এটা করার জন্য কৃষিকে আধুনিকীকারণ করতে হবে। আমরা যান্ত্রিকীকরণ করছি। আমরা কৃষিপণ্যকে যান্ত্রিকীকরণ করবো প্রকৃয়াজাত করণের মাধ্যমে। আমাদের কৃষকদের আয় বাড়াতে হবে, তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, এ কথা আমি আর একদিন বলেছি, আমাদের এক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ফোরামে। ৭৭টি মিডিয়া আমার বক্তব্য কাভার করেছে। একটি ভূইফোঁড় পত্রিকা তারা নিউজ করেছে আমি নাকি বলেছি, মানুষ ভাত বেশি খায় এ জন্য চালের দাম বেড়ে গেছে। এ ধরনের কথা আমি কোনো দিনই বলি না। আমি এ প্রসঙ্গই আনিনি।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য হলো আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল ও মেধাবী করার মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দিতে হবে। জাপানে চার বেলা ভাত খায়, কিন্তু তাদের কনযানশন ২ গ্রামেরও কম। সেখানে আমরা আগে ৪৩০ গ্রাম খেলাম এখন এটা কমে ৩৭০ গ্রামে আসছে। আস্তে আস্তে কমছে। মানুষের যেহেতু আয় বাড়ছে, মানুষ এখন শাক সবজি, ফলমূল, ডিম, মাছ মাংস সেদিকেই বেশি যাচ্ছে।

বাংলাদেশ এখন আর বিদেশী সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখন আর ওইভাবে সাহায্য নিতে হয় না। বিদেশি অনেক অর্থনীতিবিদদের আমাদের নেত্রী আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ এসেছে এটা টিকে থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা কৌশলগত পরিকল্পনা করেছি। আমরা যখন সরকারে এসেছি তখন থেকেই এগুলো শুরু করেছি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা বিআর-৬৭ নামে একটা জাত আবিস্কার করেছে। ইনশাল্লাহ এটা কোস্টাল এরিয়াতে হবে। আমরা গমের জাত আবিস্কার করছি, যা উষ্ণ অবস্থার মধ্যে, অর্থ্যাৎ জলবায়ু পরিবর্তন হোক আর না হোক আমরা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছি। কারণ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ