ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদেশফেরতরা পাবেন সাড়ে ১৩ হাজার করে টাকা

প্রকাশনার সময়: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯:২৩

করোনায় বিদেশ থেকে ফেরত আসা প্রবাসীদের জন্য ৩০ জেলায় প্রবাসীদের জন্য ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।

এসব ওয়েলফেরার সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া ২ লাখ কর্মী প্রত্যেকে প্রণোদনা হিসেবে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।

বৃহস্পতিবার ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোভিডফেরত (কোভিডের কারণে বিদেশফেরত) কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্টের সাবসিডি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

উল্লেখ্য, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোভিডফেরত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট থেকে এসব ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে।

৪২৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প থেকে স্থাপন করা ওয়েলফেয়ার সেন্টারে কোভিডফেরত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে যাচাই-বাছাই করে ২ লাখ কর্মীকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বয়স্ক, নারী ও খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন যাদের, তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া এ প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার ৫০০ বিদেশ ফেরতকর্মীকে দেয়া হবে রিকগনেশন অব প্রাইম লার্নিং সার্টিফিকেট।

প্রবাসীকল্যাণ সচিব বলেন, ‘আমরা রিইন্টিগ্রেশনের বড় একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইআরডির ৪২৭ কোটি টাকার একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির একটা সাবডিটি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সই করে পাঠিয়ে দেবেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩০টি জেলায় ৩০টি ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এগুলো করবে। প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য এটি করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশান করব। তারা যেন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা পান সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করব।’

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কোভিডের কারণে যেসব প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন, তারা এ প্রকল্প থেকে সহযোগিতা পাবেন। এ প্রকল্প থেকে বিদেশফেরত ২ লাখ কর্মীকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করো প্রণোদনা দেয়া হবে। এটি দেয়ার আগে কর্মীদের সার্ভিস দেয়া হবে। তিনি কীভাবে প্রশিক্ষণ নেবেন, কীভাবে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হবেন, কীভাবে ব্যাংক লোন পাবেন, কীভাবে কোন ধরনের ইনিশিয়েটিভ পাওয়ার জন্য ট্রেনিং নিতে হবে, এসব কাজ সম্পাদনের পর তাদের যাচাই-বাছাই করে এ প্রণোদনা দেয়া হবে।

গাইড লাইন অনুয়ায়ী, যাদের বেশি প্রয়োজন তাদের দেয়া হবে। এছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ লোককে আরপিএম বা রিকগনেশন অব প্রাইম লার্নিং সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এটার যাবতীয় খরচ এ প্রকল্প থেকে ব্যবহার করা হবে।

৪২৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প তিন বছরের জন্য জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আশা করছি, আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ অথবা আগামী বছরের শুরুতেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।’

এ প্রকল্পের উপকারিতা প্রসঙ্গে সচিব জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসীদের একটা ডাটাবেস তৈরি হবে। এতে করে জানা যাবে কারা দেশে ফিরেছেন, কোথা থেকে ফিরেছেন। এছাড়া এ ডাটাবেজ থাকলে ভবিষ্যতে তাদের সহযোগিতা করতে সুবিধা হবে।

অনুষ্ঠানে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ